Bangla Quotes

We've searched our database for all the quotes and captions related to Bangla. Here they are! All 100 of them:

কতো দেহ এলো,- গেল,- হাত ছুঁয়ে-ছুঁয়ে দিয়াছি ফিরায়ে সব,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
সূরা বনি ইসরাইলে আল্লাহ্‌পাক বলেছেন - 'আমি প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য তার গলায় হারের মত পরিয়ে দিয়েছি।' আমরা সবাই গলায় অদৃশ্য হার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কার হার কেমন কেউ জানে না।
Humayun Ahmed
তোমার শরীর ,- তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন চক্ষু এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়ে গেছি ,- পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে কত দিন রাত্রি গেছে কেটে !
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি তাহা পালন করি না; ভূরিপরিমাণ বাক্যরচনা করিতে পারি, তিলপরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না; আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতালাভের চেষ্টা করি না; আমরা সকল কাজেই পরের প্রত্যাশা করি, অথচ পরের ত্রুটি লইয়া আকাশ বিদীর্ণ করিতে থাকি; পরের অনুকরণে আমাদের গর্ব, পরের অনুগ্রহে আমাদের সম্মান, পরের চক্ষে ধূলিনিক্ষেপ করিয়া আমাদের পলিটিকস্‌, এবং নিজের বাক্‌চাতুর্যে নিজের প্রতি ভক্তিবিহ্বল হইয়া উঠাই আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।
Rabindranath Tagore
Before placing her in her mother's arms, she whispered, as she had at all the other births, hello, little amphibian. Someone had to acknowledge the strangeness of this soul, and the distance it had traversed, millions and millions of years, in order to be here.
Tahmima Anam (The Good Muslim (Bangla Desh, #2))
পৃথিবীতে কেউ কারো নয় শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যার্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়”।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-২)
সত্যকে নিজের দাস মনে না করে নিজেকে সত্যের অনুসারী হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।
Asif Shibgat Bhuiyan (সহজ কুরআন (সহজ কুরআন, #1))
বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। এ নিয়ে আমরা শ্লাঘা অনুভব করি। কিন্তু বিষয়টা সব সময় গৌরবের নয়। আবেগ যুক্তিকে ঢেকে দেয়, জিজ্ঞাসার পথ রুদ্ধ করে ফেলে, মীমাংসার পথ করে দেয় কঠিন। অতি আবেগের কারণে আমরা জাতিগতভাবে এখনো ইতিহাসমনস্ক হতে পারিনি। আর সে জন্যই আমরা ইতিহাসের চরিত্র নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছি বারবার। যা তৈরি করেছি, তা হলো কতগুলো কল্পকাহিনি বা মিথ । আমাদের সবকিছু বাড়িয়ে বলার অভ্যাস। অতিরঞ্জন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
মহিউদ্দিন আহমদ
It was like that with her mother – memory upon memory stacked together like the feathers in a wild bird, there to keep her warm, or when she needed to, fly. She was the wings of her, the very wings.
Tahmima Anam (The Good Muslim (Bangla Desh, #2))
শিমুল কাঠই হোক আর বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই।
Rabindranath Tagore
কবিতা, তোমাকে ছেড়ে কতকাল বেঁচে-বর্তে আছি! তা-ব'লে আমাকে কিন্তু তুমি ছেড়ে থেকো না, আমাকে তোমার বুকের মধ্যে হেলায়-ফেলায় পুষে রেখো। তুমি ঘর ছেড়ে গেলে আমি কোন্ বানপ্রস্থে যাবো?
Nabaneeta Dev Sen (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
পাপকে ঠেকাবার জন্য কিছু না করাই তো পাপ।
Rabindranath Tagore
যখন তুমি সত্য কথা বলবার জন্য নিন্দা কর না, কেবল নিন্দা করবার জন্য সত্য কথা বল, তখন তোমার সে সত্য কথা নীতির বাজারে মিথ্যা কথার সমান দরেই প্রায় বিক্রি হবে।
Rabindranath Tagore
আমি নদীর মানুষ, বালুচরে ঘর আমিও বাঁধব. কিন্তু তার জন্যও সময় চাই. পুরোনো পাতা যতক্ষণ না ঝরে, ততক্ষন নতুন পাতা দেখা দেয় না. অতীতের বোঝা শেষ না হয়ে গেলে ভবিষ্যত আসবে কেমন করে?
হুমায়ুন কবির (নদী ও নারী)
ঠিক সময়ে ঠিক কথা বলার দাম এক টাকা, ঠিক সময়ে চুপ করে থাকার দাম দু'টাকা।
Bhaskar Chakraborty
Yardy doing a good job out there—1-14 off his five overs so far—but Bangla are letting this drift. The bowling is there to attack, but they're as passive as sleeping sloths at the mo.
Tom Fordyce
আমাকে যদি কিছু হতেই হয় তো উদারপন্থী-ই হবো আমি। কারণ রক্ষণশীলরা কুচুটে। ('নিঃসঙ্গতার একশ বছর', অনুবাদ- জি এইচ হাবীব)
Gabriel García Márquez (One Hundred Years of Solitude)
কোথায় লুকাবে মুখ কোন্ নিঃস্ব হৃদয় গভীরে কোথায় মেলাবে তুমি দৃষ্টিভ্রান্ত বিক্ষত হৃদয় যতবার তুমি চাও মেঘ ভাঙা রৌদ্রের বিভাস সন্ধ্যার সন্ধানী হাত খুঁজে আনে রাত্রির সংশয়।
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ৪)
সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়?
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
গ্রামের লোকের অনুমানশক্তি প্রখর। সকালে আকাশের দিকে চাহিয়া তাহারা বলিতে পারে বিকালে বৃষ্টি হইবে। বিকালে যদি নেহাৎ বৃষ্টি না-ই হয় সে অপরাধ অবশ্য আকাশের।
Manik Bandopadhyay (পুতুলনাচের ইতিকথা)
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ করো। উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখ্যান, আমি সেই অনিচ্ছা নির্বাসন বুকে নেওয়া ঘোলাটে চাঁদ। আমাকে আর কী বেদনা দেখাবে?
Rudra Mohammad Shahidullah (উপদ্রুত উপকূল)
দূর আজানের মধুর ধ্বনি, বাজে, বাজে মসজিদের-ই মিনারে। মনেতে জাগে, হাজার বছর আগে, হজরত বেলালের অনুরাগে। তার খাস এলাহান, মাতাইতো প্রাণ। ভাঙ্গাইতো পাষান, জাগাইতো মহিমারে। দূর আজানের মধুর ধ্বনি, বাজে, বাজে মসজিদের-ই মিনারে
Kazi Nazrul Islam (Kazi Nazrul Islam: Selected Works)
অন্তত যথেষ্ট সফলই বলা উচিত এসব 'মাস্টারমাইন্ড' নামধারীদের। কারণ, তাদের প্ল্যান মেধাবীদের পরিণত করেছিল ম্যাশিনে, বীরযোদ্ধাদের অলস নাগরিকে; সেনাপতি হয়ে গেলো বিশ্বস্ত দাস আর লেখক কিংবা আর্টিস্টরা হলেন পোষা প্রাণী অথবা ট্রফি।
মিসবা
আমাকে বিদ্রোহী বলে খামখা লোকের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। এ নিরীহ জাতটাকে আঁচড়ে-কামড়ে তেড়ে নিয়ে বেড়াবার ইচ্ছা আমার কোনদিনই নেই। আমি বিদ্রোহ করেছি, বিদ্রোহের গান গেয়েছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, যা মিথ্যা-কলুষিত-পুরাতন-পঁচা সেই মিথ্যা সনাতনের বিরুদ্ধে। ধর্মের নামে ভন্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। যেদিন আমি চলে যাব, সেদিন হয়ত বা বড় বড় সভা হবে। কত প্রশংসা কত কবিতা বেরুবে হয়ত আমার নামে। দেশপ্রেমী,ত্যাগী,বীর,বিদ্রোহী- বিশেষনের পর বিশেষন। টেবিল ভেঙে ফেলবে থাপ্পর মেরে। বক্তার পর বক্তা। এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রার্থ্য দিনে বন্ধু তুমি যেন যেও না। যদি পার চুপটি করে বসে আমার অলিখিত জীবনের কোন একটি কথা স্মরণ কোর। তোমার ঘরের আঙিনায় বা আশেপাশে যদি একটি ঝরা পায়ে পেষা ফুল পাও, সেইটিকে বুকে চেপে বোল বন্ধু আমি তোমায় পেয়েছি। তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না, কোলাহল করে সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না। নিশ্চল নিশ্চুপ আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধুর ধূপ।
Kazi Nazrul Islam (Kazi Nazrul Islam: Selected Prose)
ভালোবাসা কখনো সুখদুঃখ বিবেচনা করে হয় না, ভালোবাসা হয় শুধু দুটি হৃদয়ের চাওয়াপাওয়াকে কেন্দ্র করে, আর সেই চাওয়াপাওয়ার কাছে দুনিয়ার সবকিছুই নগণ্য।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
সব কথা শেষ হলে ফিরে যাবো, একটি চোখ রেখে যাবো শিথানের জানালায়। সব কথা শেষ হলে করাঘাত জাগাবে তোমায়, তুমি এসে খুলবে দুয়ার— দ্যাখা হবে না।
Rudra Mohammad Shahidullah (উপদ্রুত উপকূল)
অতি বিত্তবানদের কাছে রূপ বড় কিছু না কারণ রূপ তারা চারদিকে দেখছে। রূপ তাদের কাছে সহজলভ্য। রূপ নিম্নবিত্তদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
Humayun Ahmed (মেঘের ছায়া (শুভ্র, #2))
মনে পাপ থাকার এই একটা লক্ষণ। মনে হয়, সকলে বুঝি সব জানে। সাপ উঠিয়া পড়ার আশঙ্কায় কেঁচো খুঁড়িবার চেষ্টাতেও মানুষ ইতস্তত করে।
Manik Bandopadhyay (পুতুলনাচের ইতিকথা)
মানুষকে পুণ্যের পথে নিয়ে যায় সততা ও স্বচ্ছতা.
Hedayet Sajid
যাঁরা বলেন বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা সম্ভব নয় তাঁরা হয় বাংলা জানেন না অথবা বিজ্ঞান বোঝেন না।
Satyendra Nath Bose
নিজের উপর নিয়ন্ত্রন থাকলে ..., সাধনার জন্যে নির্জনতার প্রয়োজন পরেনা ।
Hedayet Sajid
কিন্তু আমার মনে অনেক দুঃখ থাকলেও আক্ষেপ নেই, বেদনা থাকলেও ব্যর্থতার গ্লানি নেই।
নিমাই ভট্টাচার্য, মেমসাহেব
মৃদু পায়ে এসো না হে ভালোবাসা, হঠাৎ দস্যুর মতো এসো।
Sarat Kumar Mukhopadhyay (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
যে জানালা আজও বন্ধ আমার, এবারে তা যেন খুলতে পারি। যে রয়েছে শুয়ে ধূলিশয্যায় যেন হাতে ধরে তুলতে পারি। পিছনে যা আছে পিছনেই থাক্, যেন পিছুডাক ভুলতে পারি।
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
ঘরেই যারা যাবার তারা কখন গেছে ঘরপানে, পারে যারা যাবার গেছে পারে; ঘরেও নহে, পারেও নহে, যে জন আছে মাঝখানে সন্ধ্যাবেলা কে ডেকে নেয় তারে?
Rabindranath Tagore (খেয়া)
পশুপাখি উদ্ভিদেরা কিছুমাত্র বিস্মিত হবে না ওরা সব জেনে গেছে, মানুষের বেশি দেরি নেই।
Nabaneeta Dev Sen (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
যে ভালোবাসার মাঝে হারানোর ভয় থাকে আর সে কথা ভেবে দুজনেই কাঁদে সে ভালোবাসা হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা”।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-২)
ভুল থেকেই মানুষ শিখে, কিন্তু সে ভুলটি যেন না হয় জীবনের শেষ ভুল। কারণ এমনও হতে পারে আপনি যে সুযোগটি হাতছাড়া করে ফেলেছেন,সে সুযোগটিই ছিল আপনার জীবনের শেষ সুযোগ”।
রেদোয়ান মাসুদ
সবচেয়ে দুর্ধর্ষতম বীরত্বেরও ঘাড়ে একদিন মৃত্যুর থাপ্পড় পড়ে সবচেয়ে রক্তপায়ী তলোয়ারও ভাঙে মরচে লেগে এই সত্যকথাটুকু কোনো মেঘ, কোনো বৃষ্টি, কোনো নীল নক্ষত্রের আলো তোমাকে বলেনি বুঝি?
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
জীবনের কদর্যতা কলঙ্ককেই এক মাত্র সত্য বলে মানতে যে নারাজ সেই আপনাদের কাছে "পলাতক" । জীবনের উলঙ্গ কুৎসিত বাস্তবতার মাঝেও সৌন্দর্যের স্বপ্ন দেখবার সাহস যার আছে সে শুধু অক্ষম কল্পনাবিলাসী ।
Premendra Mitra (প্রেমেন্দ্র মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প)
আমাদের দুঃস্মৃতিগুলো গেঁথে ফেলার ছুঁচ আমাদের মন্থরতাগুলো উস্কে দেওয়ার ছুঁচ আমাদের বিভ্রান্তিগুলো রিফু করার ছুঁচ আমাদের দুঃস্বপ্নগুলো গেলে দেওয়ার ছুঁচ তুমি কি হাতে পেয়ে গেছ? সত্বর জানাও
Prasun Bandyopadhyay (কাব্যসংগ্রহ)
lamppost sex sale naked girl silhouette phone number whats that say I speak Hindi Urdu and Bangla well that leaves me out shiksa Mount Rushmore Ava Gardner Sonja Henie Ann-Margret Yvonne de Carlo strike Ann-Margret Grace Kelly she is the Abraham Lincoln of the shiksas So Sabbath passeth the time, pretending to think without punctuation, the way J. Joyce pretended people thought,
Philip Roth (Sabbath's Theater)
ঘরে ফিরে মনে হয় বড়ো বেশি কথা বলা হলো? চতুরতা, ক্লান্ত লাগে খুব? মনে হয় ফিরে এসে স্নান করে ধূপ জ্বেলে চুপ করে নীলকুঠুরিতে বসে থাকি? কী-বা আসে যায় লোকে বলবে মূর্খ বড়ো, লোকে বলবে সামাজিক নয়।
Shankha Ghosh (মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়)
এসো। ছোঁও। সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা, দ্যাখো। পাথরের বুক থেকে মাংস নাও, পাঁজরের রিডে রিডে চাপ দাও দশটি আঙুলে, আমাকে বাজাও তুমি বিঠোফেন-বালিকার হাত, বলো— আমি প্রত্ন নই, নই অন্ধ, জমাট খনিজ, বলো— সব শেষ নয়, এখনও আমার কিছু সম্ভাবনা আছে।
অমিতাভ দাশগুপ্ত (অমিতাভ দাশগুপ্তর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
মানুষ একদিন আশ্চর্য সব রূপকথা তৈরি করেছে । সে কি শুধুই মিথ্যার মৌতাতে বুঁদ হয়ে, যা বাস্তব তাকে ভুলিয়ে দেবার ও ভুলে থাকবার জন্যে? সে রূপকথার মধ্যে সেই দুঃসাহসী আশার বর্তিকা কি নেই, বিকৃত বর্তমানকে অবজ্ঞা ভরে বিদ্রূপ ক'রে ভবিষ্যতের সঙ্কেত যা বহন করে! জীবনকে তার সমস্ত কদর্যতা, গ্লানি আর অসম্পূর্ণতা নিয়ে সত্য করে জানবার দুর্ভাগ্য যাদের হয়নি, বাস্তবের ফাঁকা বুলির হুজুগে তারই সব চেয়ে বেশি মেতে ওঠে । জীবনকে সত্য ক'রে যে জেনেছে, সে সত্যের চেয়ে আরও বেশি কিছু দিয়ে তা প্রকাশ করে; - সেই বেশি কিছুই স্বপ্ন ।
Premendra Mitra (প্রেমেন্দ্র মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প)
এক একদিন ঘুম ভাঙার পর মাথায় বেঠোফেনের অগ্নিজটাময় চুল, আর মুখের দুপাশে মায়াকভস্কির হাঁড়িকাঠের মতো চোয়াল, চোখের ভিতরে বোদলেয়ারের প্রতিহিংসাপরায়ণ চোখ, মনের ভিতরে জীবনানন্দের প্রেমিক চিলপুরুষের মন, আর হাসির ভিতরে রেমব্রান্টের হিসেব-না-মেলানো হাসির চুরমার!
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
স্বপ্নেই শুধু দ্বিতীয়বার ফিরে পাওয়া যায় শৈশব। সব ধুলোবালি খোলামকুচি, সব উড়ে-যাওয়া আঁচল রঙিন পরকলা জুড়ে জুড়ে আঁকা সব মুখচ্ছবি বৃষ্টি বাদলের ভিজে গন্ধের ভিতরে লুকিয়ে কাঁদার সুখ। স্বপ্নেই শুধু আরেকবার অগাধ জলের ভিতর থেকে মুখ তুলে তাকায় ছেলেবেলার লাল শালুক।
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
এমন দিনে তারে বলা যায় এমন ঘনঘোর বরিষায়। এমন দিনে মন খোলা যায়— এমন মেঘস্বরে, বাদল-ঝরোঝরে তপনহীন ঘন তমসায়। ... দু কথা বলি যদি কাছে তার তাহাতে আসে যাবে কিবা কার? ব্যাকুল বেগে আজি বহে যায়, বিজুলি থেকে থেকে চমকায়। যে কথা এ জীবনে, রহিয়া গেল মনে সে কথা আজি যেন বলা যায়— এমন ঘনঘোর বরিষায়।
Rabindranath Tagore
তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো ‘এই আকাশ আমার’ কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো, ‘ফুল তুই আমার’ তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে। জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে, তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’ কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর। মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক ? তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আমি তোমার, তুমি আমার’।
Shamsur Rahman
আসল কথা, মনের আনন্দই মানুষের জীবনের অস্তিত্বের সব চেয়ে বড় মাপ- কাঠি। আমি দশ মাইল গিয়ে যে আনন্দ পেলাম, তুমি যদি হাজার মাইল গিয়ে সেই আনন্দ পেয়ে থাকো তবে তুমি আমি দুজনেই সমান। দশ মাইলে আর হাজার মাইলে পার্থক্য নেই। তবে ঘরকে একেবারে মন থেকে তাড়াতে হয়। ঘর মনে থাকলে পথ ধরা দেয় না। ঘর দুদিনের বন্ধন, পথ চিরকালের।
Bibhutibhushan Bandyopadhyay
Diana accuses me of losing my sense of history. The hands that arrange her bones, that brush away the layers of earth that weighed heavy on her for fifty million years, those hands should be light and unattached, not heartsick, that embarrassing word, not longing for human touch, for the particular grooves of another person's lifetline, but something else entirely, a pair of moving parts mindful of all that is ancient, and endures. I bristle at her rebuke, knowing she is right.
Tahmima Anam (The Bones of Grace (Bangla Desh, #3))
মনে রাখব না এই আকাঙ্ক্ষার তীব্র ভাষাগুলি, তীব্রতর সুখ আর তীব্রতম যন্ত্রণার কথা— রক্তের গভীর স্রোত ঘিরে থাকবে অপার শূন্যতা, বর্ণহীন অন্ধকার মেলে ধরবে অস্থির অঙ্গুলি। সব ফেলে একদিন চলে যাব, প্রেম-স্মৃতি-ঘৃণা— আনন্দ-বিষাদ, সব ; জানবে না তুমি কোনোকালে। পরবাসী হাওয়া এসে বলে যাবে, হে করুণাহীনা, বিচ্ছেদের শেষ স্পর্শ থাকবে কোন্ তমালের ডালে।
Pronabkumar Mukhopadhyay (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কারো জন্য কিছু থেমে না থাকলেও মনে কিছু আক্ষেপ থেকে যায়, যা কোনোদিনও শেষ হয় না, শুধু জীবন ভরে কাঁদায়।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
তার জন্য কাঁদো যে তোমার চোখের জল দেখে সেও কেঁদে ফেলে, কিন্তু এমন কারো জন্য কেঁদো না যে তোমার চোখের জল দেখে উপহাস করে।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
হে প্রেম, নিভৃত ব্যথা, হে বিরহ, সুখের অনল পতিত জমিন চ'ষে এই বুকে ফসল ফলাও, অনিদ্রা-মলিন চোখ তুমি তারে স্বপ্নমুগ্ধ করো। তুমি তারে প্রেম দাও, বিরহ অনল দাও— উপেক্ষা দিও না।
Rudra Mohammad Shahidullah (দিয়েছিলে সকল আকাশ)
বলো আমি কতোখানি প্রেম হবো, কতোখানি বিনিদ্র রাত সাপের দাঁতের মতো কতোটুকু বিষাক্ত হবো স্বভাবে শরীরে, বলো, বলো আমি কতোখানি হিংস্র পাশবিক হবো, কতোখানি নিঃসঙ্গ ঈশ্বর!
Rudra Mohammad Shahidullah (উপদ্রুত উপকূল)
বৃক্ষের মতো হও, আর মরা পাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও।
জালাল উদ্দিন রুমি
He who plays his music to the stars is standing at your window with his flute.
Rabindranath Tagore (The Crescent Moon)
একেক দিন এমন যায়, দিনের মধ্যে একবারের জন্যও তোমার কথা মনে পড়ে না।
Tarapada Roy (তারাপদ রায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
দিন আর রাত্রির মাঝখানে পাখিওড়া ছায়া মাঝে মাঝে মনে পড়ে আমাদের শেষ দেখাশোনা।
Shankha Ghosh (আদিম লতাগুল্মময়)
যাও, তাকে যেমন করেই হোক খুঁজে আনো। সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক। সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে জিজ্ঞাসা করুক : রাজা, তোর কাপড় কোথায়?
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কবি, তুমি গদ্যের সভায় যেতে চাও? যাও। পা যেন টলে না, চোখে সবকিছুকে-তুচ্ছ-করে-দেওয়া কিছুটা ঔদাস্য যেন থাকে। যেন লোকে বলে, সভাস্থলে আসবার ছিল না কথা, তবুও সম্রাট এসেছেন।
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
বাল্যকালে একটা ছিল বিষম সুখ তখন কোনো বাল্যকালের স্মৃতি ছিল না
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ২)
এমনও তো হয় কোনোদিন পৃথিবী বান্ধবহীন তুমি যাও রেলব্রিজে একা— ধূসর সন্ধ্যায় নামে ছায়া নদীটিও স্থিরকায়া বিজনে নিজের সঙ্গে দেখা।
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ১)
আমার বেদনাখানি রেখে যাবো বাঁশির ভেতরে অনেক ঋতুর শেষে তুমি এসে তুলে নিলে বেজে উঠবে আনন্দলহরী এভাবেই চিরকাল মুছে যাবে তোমার আমার সমূহ দূরত্বকথা সকল অন্তর
Prasun Bandyopadhyay (কাব্যসংগ্রহ)
হাওড়া ব্রিজের চুড়োয় উঠুন, নীচে তাকান, ঊর্ধ্বে চান— দুটোই মাত্র সম্প্রদায় নির্বোধ আর বুদ্ধিমান।
Shankha Ghosh (নিহিত পাতালছায়া)
যে থাকবে না তাকে যতভাবেই আটকে রাখতে চাও না কেন কোনো লাভ হবে না কারণ সে ইতিমধ্যে তোমার প্রতি তার সকল মায়া ত্যাগ করে ফেলেছে। হয়তোবা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে ভালোবাসার অভিনয় করবে কিন্তু তুমি তাকে এতই ভালোবেসে ফেলেছ যে তার সামান্য একটু অভিনয়েই তাকে ফিরে পাওয়ার স্বপ্নে অস্থির হয়ে গেছ। আসলে এ স্বপ্নই তোমাকে আরো বেশি কষ্ট দিবে, যা তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা”।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-২)
আমি উঠে নফল সালাত পড়লাম। দু-চোখের অশ্রু ফেলে মা-বাবা ও ভাই-বোনদের জন্য হিদায়াতের দুআ করলাম। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ অবশ্যই আমার দুআ কবুল করবেন। তবে কখন করবেন, সেটা কেবল তিনিই জানেন।
Binti Adil (ফেরা ২ (ফেরা, #2))
...মনে হয় যেন খুব বেশি বলা হয়ে গেল এই কতদিনে। সমস্ত দিনের পর গভীর রাতে বাড়ি ফিরে গ্লানির মতো লাগে। কথা, কথা যেন একটু চুপ ছিল না কোথাও, থাকতে নেই, হাতে হাত রাখতে নেই। যে-নীরবকে খুঁজতে বেরিয়েছিলে, সবাই মিলে, কোথায় সেসব মিলিয়ে গেল বাতাসে, যেন সেসব জানতে নেই কখনও। ...তাই মনে হয় লিখতে হবে নিঃশব্দে কবিতা, এবং নিঃশব্দ কবিতা। শব্দই জানে কেমন করে সে নিঃশব্দ পায়।
Shankha Ghosh
আমার দুঃখের দিন তথাগত আমার সুখের দিন ভাসমান! এমন বৃষ্টির দিন পথে-পথে আমার মৃত্যুর দিন মনে পড়ে। আবার সুখের মাঠ জলভরা আবার দুঃখের ধান ভরে যায়! এমন বৃষ্টির দিন মনে পড়ে আমার জন্মের কোনো শেষ নেই।
Shankha Ghosh (নিহিত পাতালছায়া)
কেবল যে-রাতে নিয়মের ফ্রেম ভেঙে আঁধি-ঝড়, বৃষ্টিপাত হয়, ভেঙে চুরে যেতে চায় সর্বস্ব আমার, ঘর-প্রেম-ভালোবাসা সব মিথ্যে মিথ্যে হয়ে যায়, পাপোশের তলা থেকে পায়ে পায়ে বুকে উঠে আসে জীবনানন্দের লেখা, উন্মাদ বিনয়।
অমিতাভ দাশগুপ্ত (অমিতাভ দাশগুপ্তর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কোথায় শুটিং হবে, বাবারা?" প্রশ্নটা চুনিবালার। বললাম, "স্টুডিওতে নয়, একটা কুঁড়েঘরে। গল্পটা এক পুরুতঠাকুরের সংসার নিয়ে। সম্পর্কে আপনি তার দিদি। সেই বুড়ি দিদির ভূমিকায় আপনি অভিনয় করবেন। জায়গাটা এখান থেকে মাইল-পনেরো দূরে। গাড়িতে করে সরাসরি আপনাকে নিয়ে যাব আমরা, তারপর সন্ধের মধ্যেই কাজ শেষ করে এখানে আবার ফিরিয়ে দিয়ে যাব। ধকলটা আপনি সহ্য করতে পারবেন তো?" "তা পারব। বোধহয় ঠিক এই রকমের একটা সুযোগের জন্যেই শরীরের শেষ শক্তিটুকুকে ধরে রেখেছি।
Satyajit Ray (My Years With Apu)
বেশি ভক্তি করলে দেবতা চটে যান। দেবতা কী বলেন, শুনবেন? বলেন, ওরে হতভাগার দল। আমাকে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তোরা একটু আত্মচিন্তা কর তো বাপু। আমাকে নিয়ে পাগল হয়ে থাকবার জন্য তোদের আমি পৃথিবীতে পাঠাইনি। সবাই মিলে তোরা আমাকে এমন লজ্জা দিস!
Manik Bandopadhyay (দিবারাত্রির কাব্য)
কান্টের মতো দার্শনিক একটা ছোট্ট শহরে ছিলেন জার্মানির, এত বড় চিন্তা করবার খোরাক পেয়েছিলেন সেখানে থেকেই। শহরে না থাকলেই লোক পুরোনো হয় বলে মনে কর কেন? নতুন আর পুরোনো অত্যন্ত সাধারণ ধরনের শ্রেণীবিভাগ। নতুন মাত্রেই ভালো নয়, পুরোনো মাত্রই মূল্যহীন নয়।
Bibhutibhushan Bandyopadhyay (অভিযাত্রিক)
পরমুখাপেক্ষী দিন, কালো সূত্রপাত, মুখনাড়া— হয়তো প্রকাশ্য নয়, ভিক্ষা তবু, হাতপাতা তবু একদিন একদিন ক'রে ঋণ যায় দানের মকুবে অমানী অক্রোধী দিন, অপ্রবাসী ভাড়ার বাড়িতে পিছনে উচ্ছেদপত্র, দুয়ারে প্রস্তুত ঠেলাগাড়ি তবুও ছপ্পড় ফুঁড়ে প্রেম আসে গরিবের বাড়ি
Joy Goswami (আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো)
The Ramayana, for instance, and the Mahabharata were first recorded in Sanskrit but have been retold—both written down and orally performed—in Tamil, Bangla and most of the other languages of India. And the people who share these texts did have ways of referring to themselves long before they called themselves ‘Hindu’. The term ‘Hindu’ was coined in opposition to other religions, but this self-definition through otherness began centuries before there was contact with Europeans (or, indeed, with Muslims).
Wendy Doniger (On Hinduism)
সবাই মানুষ থাকবে না। কেউ কেউ ধুলো হবে, কেউ কেউ কাঁকর ও বালি খোলামকুচির জোড়াতালি। কেউ ঘাস, অযত্নের অপ্রীতির অমনোযোগের বংশানুক্রমিক দূর্বাদল। আঁধারে প্রদীপ কেউ নিরিবিলি একাকী উজ্জ্বল। সন্ধ্যায় কুসুমগন্ধ, কেউ বা সন্ধ্যার শঙ্খনাদ। অনেকেই বর্ণমালা অল্প কেউ প্রবল সংবাদ।
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
সমস্ত পাওয়ার পরও মানুষের তবু বাকি থাকে কোনোখানে একটি চুম্বন। যখন সকল জামা পরা শেষ, মাথায় মুকুট, যখন সকল সুখে পুষ্ট ওষ্ঠপুট তৃষ্ণার কলসগুলি ভরে গেছে চরিতার্থতায় অকস্মাৎ মানুষের মনে পড়ে যায় বিসর্জনে ডুবে গেছে কবে কত প্রতিমা ও পরম লগন মনে পড়ে বাকি আছে, মনে পড়ে বাকি রয়ে গেছে কোনোখানে একটি চুম্বন।
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কালো মেঘখানি ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সারা দিন, দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘন ঘাসে ঢাকা মাঠের শিয়রে। বুকে তার জমে আছে যেন বড় চাপা অভিমান; যত তাকে দেখি, তাই তত তার কথা মনে পড়ে। সেও তো মেঘেরই মতো ওই মাঠে সারাদিনমান একদা দাঁড়িয়ে ছিল, কেউ তাকে ডাকেনি খেলায়। ও মেঘ, ও কালো মেঘ, তুমি সেই কালো মেয়েটিকে ফিরিয়ে এনেছ এই আষাঢ়ের বিকেলবেলায়।
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?
Gour Kishore Ghosh (মনের বাঘ)
এই জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিস কী, বলা মুশকিল। সম্ভবত কিছু নেই। সম্ভবত আছে। সময় এবং ক্ষেত্র বিশেষে এক-একটা জিনিস বড় হয়ে ওঠে। ব্যক্তিভেদে জীবনের গুরুত্বভেদ ঘটে। অধ্যাপক সত্যেন বোসের জীবনে রিলেটিভিটি তত্ত্ব অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ, অতুল্য ঘোষের জীবনে পলিটিক্স, রামকিঙ্করের জীবনে শিল্প-সাধনা, স্যর বীরেনের জীবনে ইন্ডাস্ট্রি, তেমনি এমন লোকও আছে, আমাদের বন্ধুবান্ধবের মধ্যেই আছে, যার জীবনে কোষ্ঠকাঠিন্যই সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
Gour Kishore Ghosh (মনের বাঘ)
তবু কান পেতে রাখা ভালো যদি কিছু মাত্র শোনা যায়— কোনো স্পন্দন, হৃদয় বলে যে ভূকম্পন যন্ত্র আছে যদি ধরা দেয় সেইখানে— কোথাও মানুষের প্রতি আর এক মানুষ, শুধু সমব্যথী বলে যদি মমতায় আর্দ্র হয়, কান পেতে রাখা ভালো, মানুষের মন যদি খুব নিচু স্বরে, সেই কথা বলে। চারিদিকে খুব সবল চিৎকার চলেছে, স্খলিত দুএকটা ক্ষুর তারই মধ্যে যদি নিয়ে আসে বসন্তের আসন্ন বাতাস, তাই কান পেতে রাখা ভালো, হৃদয় নামেতে যে ভূকম্পন যন্ত্র আছে, যদি শিহরিত হয়!
Soumitra Chattopadhyay (কবিতা সমগ্র)
আমি নগণ্য নাট্যকার, কেউ নাম শোনেনি আমার। আমার ক্ষেত্র থিয়েটার। সিনেমা দেখে থাকি, কিন্তু সিনেমায় অভিনয় করবার বা অন্য কিছু করবার ইচ্ছে কখনো জাগেনি মনে। আমার নাটক শম্ভু মিত্র গ্রহণ করলে উৎসাহিত হয়েছি, সিনেমার ক্ষেত্রে সেরকম কোনো উৎসাহ বোধ করিনি। পরে যখন একটু নামডাক হয়েছে, অনেকে প্রশ্ন করেছেন— সিনেমায় কিছু করবার ইচ্ছে বা চেষ্টা আছে কি না। সোজা বলে দিয়েছি— না, নেই। আরো কথা বাড়ালে বলেছি, "কিছু লোকের তো থিয়েটারে থাকা দরকার।
Badal Sircar (পুরোনো কাসুন্দি)
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন; তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি। কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি। অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি; — কেলিনু শৈবালে; ভুলি কমল-কানন! স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে — "ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি? যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!" পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে।
Michael Madhusudan Dutt (চতুর্দ্দশপদী কবিতাবলী)
এক সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট কফিহাউসে একটা টেবিলের সামনে একা বসে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছি। হঠাৎ কবি বিনয় মজুমদার এসে মুখোমুখি বসে বললেন, 'হ্যাঁ মশাই, আমি যা জানি, তা-ই তো আমার জ্ঞান?' সায় দিতেই তিনি তেমনই হঠাৎ উঠে গেলেন। কিন্তু তখনই আমার চমক জেগেছিল। জ্ঞান জিনিসটার সরল ব্যাখ্যা আর কী হতে পারে! এইজন্যই কবিদের বলা হয় ক্রান্তদর্শী। স্তূপাকার জ্ঞানই আমাদের অভিজ্ঞতা। তার থেকে একটুখানি বেছে নিয়ে ভাঙচুর করার ব্যাপারটাই আসলে শিল্প এবং শেষাবধি তার পরিণাম একটা আখ্যান, যা গল্প (fiction) নামে পরিচিত।
Syed Mustafa Siraj (সেরা ৫০টি গল্প)
কিন্তু মানুষ তো কেবল নিজের লেখা সম্পর্কে "ভালো" শুনতেই চায়! আমিও তো সেরকমই চাইতাম। কেবলই নিজের সম্পর্কে ভালো কথা শুনতে চাইবার মনটাকে নিভিয়ে ফেলবার জন্য প্রত্যেকদিন একটা কঠোর রেওয়াজ করে চলতে হয়। তার পরিশ্রমও আছে। নিজের সম্পর্কে সেই "ভালো" কথা শুনবার ইচ্ছেটাকে সত্যি-সত্যি যদি নিভিয়ে ফেলা যায়, তবে যা বাকি থাকে তা আনন্দ। অপরিসীম আনন্দ। সেই সঙ্গে খুব ফ্রি লাগে নিজেকে। একটা মুক্তি। লেখার মধ্যে থাকার আনন্দটা তখন পাওয়া যায় বেশি করে। সেই ইচ্ছেটাকে অবশ্য চিরতরে নিভিয়ে ফেলা যায় না। কয়েকদিন পরেই সে আবার কোথা থেকে এসে হাজির হয়। তখন বোঝা যায়, রেওয়াজে ফাঁকি পড়েছে।
Joy Goswami (গোঁসাইবাগান ৩)
নারী-শিক্ষা যখন ভালো মতন চালু হয়নি, মেয়েরা ঘর ছেড়ে তখনও বাইরে আসে না— সেই যুগেও বাংলা সাহিত্যে যতজন উল্লেখযোগ্য লেখিকা ছিলেন, তার তুলনায় এখন বহু রকম সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও লেখিকার সংখ্যা এত কম কেন? ...অন্য গল্প-কবিতার কথা বাদ দিলেও, শিশু-সাহিত্যে তো মেয়েরা অনেক কিছু দিতে পারতেন। বস্তুত, শিশুদের সম্পর্কে মেয়েদের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হাজারগুণ বেশি। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের গল্প বলেও ভোলাতে হয় তাঁদের। সেই হিসেবে, শিশু-সাহিত্যটাই মেয়েদের একচেটিয়া হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনা তা নয়। পৃথিবীর নাম-করা লেখিকাদের মধ্যে অনেকেই বাচ্চাদের জন্য এক লাইনও লেখেননি! এও এক অদ্ভুত ব্যাপার।
Leela Majumdar
এতগুলো শতাব্দী গড়িয়ে গেল, মানুষ তবু ছেলেমানুষ থেকে গেল কিছুতেই বড় হতে চায় না এখনো বুঝলো না যে "আকাশ" শব্দটার মানে চট্টগ্রাম কিংবা বাঁকুড়া জেলার আকাশ নয় মানুষ শব্দটাতে কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই ঈশ্বর নামে কোনো বড়বাবু এই বিশ্বসংসার চালাচ্ছেন না ধর্মগুলো সব রূপকথা যারা সেই রূপকথায় বিভোর হয়ে থাকে তারা প্রতিবেশীর উঠোনের ধুলোমাখা শিশুটির কান্না শুনতে পায় না তারা গর্জন-বিলাসী, অনুভব করতে পারে না ঐকতান কিছু কিছু মানুষ আমাদের সাবালক করার জন্য মাথা খুঁড়ে গেলেন তাদের বড় বড় ছবি ঝোলানো হয়, আসলে গ্রাহ্য করে না কেউ আয় কানাই, আয় কামাল, তোরা আয় পৃথিবী ভর্তি বুড়ো-খোকাদের পাগলামি দেখে আমরা একটা গাছতলায় দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করি!
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ৩)
কবিতা আমাকে বাঁচিয়েছে অনেকবার, অনেকদিন। বহু অপ্রস্তুত মুহূর্তে, বহু বিহ্বল অপমানে, বহু গ্লানিময় পরাজয়ে, বহু নির্দয় শোকে, নিষ্করুণ আঘাতে, নিরুদ্দেশ অস্থিরতায়, নির্জীব একাকীত্বে, নিষ্ফল প্রয়াসে, নির্মম ঔদাসীন্যে, নিশ্চল স্থবিরতায় হঠাৎ এসে উদ্ধার করেছে আমায় কবিতা। আমি তাকে ভুলে থেকেছি অনেকবার। সে আমায় ভোলেনি। কখন যেন কাছে এসে দাঁড়িয়েছে, মাথায় বুলিয়েছে শুশ্রূষার আঙুল, নিদ্রাহীন চোখে মাখিয়েছে মায়াবী অঞ্জন, শব্দের পর শব্দ গিয়েছে যুগিয়ে। নতুন সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আমি ভুলে গিয়েছি সব অপমান, অস্থিরতা, শোক, পরাজয়, আঘাত, স্থবিরতা, ঔদাসীন্য, একাকীত্ব। কবিতা আমার প্রথম ও শেষ প্রেমিকা। আমার তৃষ্ণা, বাসনা, নিঃশ্বাস। আমার নিয়তি।
Pronabkumar Mukhopadhyay (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
সময় বলেনি আমাকে কিছু আমিও ছেড়েছি তার হাত তবুও ভুলে যাওয়া সন্ধ্যায় স্মৃতির আচমকা উৎপাত সেই যে দিনগুলো, বন্ধু আমাদের পুরোনো ঘরবাড়ি পুরোনো পৃষ্ঠার দেওয়ালে ধূসর অক্ষরদের সারি আঙুলে লেগে আছে জল জলের ভিতরে শুধু দৃশ্য সেই যে দিনগুলো, বন্ধু হয়েছে আজ অস্পৃশ্য তবুও ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছি আমার এই গিটারের ছন্দ কেউ তো জানলো না কিচ্ছু পুরোনো বৃষ্টির গন্ধ কুয়াশা কাটবে কিনা জানিনা আমি তো পাল্টে গেছি সেই কবে আমি তো ভুলে গেছি সবকিছু কী হবে মনে রেখে কী হবে? সময় বলেনি আজও আমাকে কীভাবে সন্ধ্যেগুলো রাত্রি হয় আজকে একলা আমি এই রাতে নিজেকে ধীরে ধীরে করছি ক্ষয় আমি তো পাল্টে গেছি সেই কবে তবুও ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিলাম আমি তো ভুলে গেছি সবকিছুই কী হবে মনে রেখে কী হবে? (গানের নাম - "ক্ষয়" কথা - অরূপরতন সুর - মুহম্মদ)
Arupratan, Muhammad
শান্ত ও চিররুগ্ন এক কিশোর আমি এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছিলাম চারিদিকে। শেষমেশ পড়েছি কবিতার আসল খপ্পরে, দুরারোগ্য স্বপ্নে। স্বপ্ন অনেক বেশি ক্ষতিকারক। স্বপ্ন কিশোরের পকেট ভরে তুলতে থাকে অসম্ভবের সোনাদানায়, মগজের মধ্যে রুয়ে দিতে থাকে আজগুবি ধরনের লতাপাতা ও ফুল-ফলের চারা, কানের মধ্যে বাজিয়ে চলে পাশের কামরার অন্ধকারের কনুই ও হাঁটুর শব্দ, অজানার গোপন ফিসফাস। স্বপ্ন মেলার মধ্যে নিষিদ্ধ ভিড়ে কানকো ধরে টেনে নিয়ে একদম ফতুর করে ছেড়ে দেয়। ফতুর হয়ে কিশোর ঘুরতে থাকে স্বপ্নের মেলার সুন্দরের আয়োজনের দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু সকল দুয়ারেই সাজানো ঝিলিকমিলিক দৌবারিক। সব দরোজা পাহারাদারদের দখলে। কিশোর দেখে, সুন্দরের সব দরোজায় বসে গেছে টিকিট কাউন্টার। হ্যাজাক জ্বালিয়ে নাভিতে আচমকা লাফিয়ে ওঠে সার্কাসের তাঁবু। কিশোর তার টিকিটবিহীন হৃদয় নিয়ে ঘুরতে থাকে সুন্দরের এক প্রবেশ-পথ থেকে আরেক প্রবেশ পথের দিকে। উঁকি মারে ফতুর কিশোর : একাগ্র, নিঃসঙ্গ ও নির্লিপ্ত।
আবিদ আজাদ (কবিতার স্বপ্ন)
There was only one thing to do, she decided: make pickles. The mangoes on the tree were just about ready: grassy-green and tongue-smackingly sour. She asked the boys to pick them from the tree. When they were younger, this was the children’s job. Maya was by far the better climber: her foot would curl over the branches and hold her fast, while she stretched her arms and plucked the fruit, throwing it down to Rehana, who kept shouting, ‘Be careful! Be careful!’ She would slice the green mangoes and cook them slowly with chillies and mustard seeds. Then she would stuff them into jars and leave them on the roof to ripen. There was a rule about not touching pickles during the monthlies. She couldn’t remember who had told her that rule – her mother? – no, her mother had probably never sliced a mango in her brief, dreamy life. Must have been one of her sisters. Marzia, she was the best cook. And the enforcer of rules. But Rehana had decided long ago this was a stupid rule. It was hard enough to time the pickle-making anyway, between the readiness of the fruit and the weather, which had to be hot and dry. As she recited the pickle recipe to herself, Rehana wondered what her sisters would make of her at this very moment. Guerrillas at Shona. Sewing kathas on the rooftop. Her daughter at rifle practice. The thought of their shocked faces made her want to laugh. She imagined the letter she would write. Dear sisters, she would say. Our countries are at war; yours and mine. We are on different sides now. I am making pickles for the war effort. You see how much I belong here and not to you.
Tahmima Anam (A Golden Age (Bangla Desh, #1))
কাউকে দুঃখ দিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো। কারণ নিজের কষ্টের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিলে জীবন ভরে তার অভিশাপ মাথায় নিয়ে চলতে হয়।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
কাউকে কখনো বেশি আপন করে নিয়ো না, তাহলে তার কাছে তোমার নিজের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
বিয়ের পরে সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, স্বামী-স্ত্রী যেন দুটো যন্ত্র হয়ে যায়। সেখানে সবকিছু চলে নিয়মমাফিক। ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনিয়ম, যখন সেখানে নিয়মকানুন চলে আসে তখন আর ভালোবাসা থাকে না।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
মায়া আর মানবতা দুইটা ভিন্ন জিনিস মায়া সবারই থাকে, হয়তো একজন থেকে অন্যজনের প্রতি স্থানান্তরিত হয় কিন্তু মানবতা সবার থাকে না।
রেদোয়ান মাসুদ (অপেক্ষা-৩)
সোজা হয়ে দাঁড়াবার প্রাকৃতিক প্রবণতা যার শরীরে কোথাও আর একবিন্দু অবশিষ্ট নেই, যে জানে অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বুক ঘ'ষে চলা। পায়ের গন্ধের প্রতি যার আছে দুর্নিবার ঝোঁক, যে শিখেছে পা চাটার ছলাকলা, বিচিত্র কৌশল, কুকুরের মতো যার লাথি খেতে আহ্লাদ জাগে। স্বেচ্ছায় বাড়িয়ে রেখে পশ্চাতের মাংসময় ভূমি যে পারে প্রভুর জন্যে এনে দিতে লাথির আরাম, 'জি হুজুর' ছাড়া আর সব শব্দ যে গিয়েছে ভুলে। যার কোনো স্মৃতি নেই, ব্যক্তিগত দুঃখ-সুখ নেই, কি স্বপ্নে কি জাগরণে হুজুরের জুতো মোবারক জেগে থাকে মাথার ভেতরে যার মস্তিষ্কের মতো। একান্ত তারই জন্যে হুজুরের দরোজাটা খোলা, এ-সময়ে সেই পাবে সৌভাগ্যের সুগোপন সিঁড়ি। (যোগ্যতা)
Rudra Mohammad Shahidullah (মৌলিক মুখোশ)
হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে, অথচ আমার ব্যাপক বিরহ ভূমি। ছুটে যেতে চাই— পথ যায় পায়ে থেমে, ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নোখে তুমি।
Rudra Mohammad Shahidullah (মৌলিক মুখোশ)
অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই, কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস, মাধবীও চাই। এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখ্যান। অতোটা প্রেমের প্রয়োজন নেই ভাষাহীন মুখ নিরীহ জীবন প্রয়োজন নেই— প্রয়োজন নেই কিছুটা হিংস্র বিদ্রোহ চাই কিছুটা আঘাত রক্তে কিছুটা উত্তাপ চাই, উষ্ণতা চাই চাই কিছু লাল তীব্র আগুন।
Rudra Mohammad Shahidullah (উপদ্রুত উপকূল)
কতিপয় হিজড়া-পণ্ডিত আর মূর্খ নেতাদের ডিনার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে বিষন্ন বাংলাদেশ উচ্ছিষ্ট হাড়ের মতো।
Rudra Mohammad Shahidullah (উপদ্রুত উপকূল)