“
একটি একশিলা-মূর্তির প্রার্থনা
আমি গ্রামের সিংদরোজায় দাঁড়িয়ে থাকি
আমার আগের অবস্হার ইয়ার্কি হিসাবে ।
এক সময়ে আমি গভীর জঙ্গলে দাঁড়িয়ে থাকতুম
গর্বে আর সন্তুষ্ট
আমার টোলপড়া হাসিমুখ প্রেমিকা
দাঁড়িয়ে থাকতো আমার পাশে ।
তারপর একদিন কিছু বাইরের লোক
খোঁচা দিতে-দিতে আর উঁকিঝুঁকি মেরে
এখানের টিলাটায় ছোরা ঢোকালো
আরেক জায়গায় পাথর যাচাই করল ।
হঠাৎ ওদের বুড়ো লোকটা
আমাকে দেখতে পেলো আর চেঁচালো,
‘আহা, এইটাই চাই
এতেই কাজ হবে ।’
অন্যরা আমার প্রেমিকাকে দেখে
মাথা নাড়িয়ে বলল,
‘কিন্তু এটা নয়
নোংরা ফাটলটা দ্যাখো।’
আমি প্রতিবাদ করলুম আর অনুরোধ করলুম,
‘দয়া করে ওকে ছেড়ে যাবেন না
ওটা গালের টোল
এক বিদ্যুৎ যাবার পথে দিয়ে গেছে।’
কিন্তু তারা আমার অনুরোধকে আমল দিলো না
আর নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করল ।
আমাকে বেদি থেকে উপড়ে তুললো
প্রেমিকার পাশ থেকে কেটে আলাদা করল
বাটালি দিয়ে চাঁছলো আমাকে
অন্যরকম চেহারা দিলো।
ওরা আমাকে গ্রামে টেনে নিওয়ে গেলো
একটা চলনসই ঠেলাগাড়িতে বেঁধে ফেলল
আর পুঁতে দিল পালটে-দেয়া আমায়
তাদের নতুন পাওয়া ট্রফি হিসাবে ।
দলটা যখন গ্রামে পৌঁছোলো
বাচ্চারা হইচই করে বেরিয়ে এলো,
উলু দিল রঙিন-পোশাক মহিলারা
আর মাতাল পুরুষরা নাচতে লাগল
আম,আর নতুন পোঁতা
দুর্দশা ঘিরে ।
এমনকি গ্রামের কুকুররা
দৌড়ে এসে নিজেদের ঠ্যাঙ তুলে ধরল
বাটালি-চাঁছা আমার চেহারায়
তাদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য
সার্বজনিক গর্বে
আর আমি লজ্জায় দাঁড়িয়ে রইলুম
অন্য কারো খ্যাতির খাতিরে ।
এইভাবেই আমি গ্রামের সিংদরোজায় দাঁড়িয়ে থাকি
আমার পুরোনো অবস্হার ইয়ার্কি হিসেবে।
হে প্রকৃতির শক্তি,
যখন তুমি জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাবে
আর আমার প্রেমিকা জানতে চাইবে
তাকে বোলো
আমি আমার গরিমায় অবতীর্ণ হয়েছি
কিন্তু কখনও, দয়া করে, দয়া করে, বোলো না
আমার অবমাননার কাহিনি ।
”
”