“
আমরা, এই আধুনিক মানুষেরা, বিজ্ঞানমনস্করা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সত্যিই উন্নত হয়েছি ? বেশি সুখে আছি ? এই তথাকথিত জীবনযুদ্ধে আমরা কি প্রত্যেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিন্নভিন্ন নই?
যা আমরা পেয়েছি, আমাদের সভ্যতার, আধুনিকতার পরিবর্তে শুধুমাত্র এই কি প্রার্থিত ছিলো ? যে গন্তব্যে আমরা এসে পৌঁছেছি এবং অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছবো তাই কি আমাদের প্রার্থিত ছিলো ? মানুষ হিসেবে, মনুষ্যত্বর বিচারে, ভালোত্বর বিচারে, আমরা কি অনেকই ছোট, লোভী, স্বার্থপর, বিবেকরহিত, অপরিণামদর্শী হয়ে যাইনি ?
ঈশ্বর আমাদের কাছে উপহাসের বস্তুও। কেন? তা তলিয়ে ভাবার সময়, অবকাশ এবং গভীরতা আমাদের বেশীরভাগেরই নেই। ঈশ্বরবোধ যে আমাদের ভেতরের শুভ, সত্য এবং শাশ্বত বোধগুলিকে জাগরূকই করে, আমাদের পাশববৃত্তিগুলিকে শাসন করতে উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের এক সুন্দর প্রার্থিত নিষ্কলুষ জীবনের দিকে ধাবিত করায়, তা কি আমরা মনে রেখেছি ?
”
”