Bangla Love Quotes

We've searched our database for all the quotes and captions related to Bangla Love. Here they are! All 24 of them:

কতো দেহ এলো,- গেল,- হাত ছুঁয়ে-ছুঁয়ে দিয়াছি ফিরায়ে সব,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
তোমার শরীর ,- তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন চক্ষু এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়ে গেছি ,- পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে কত দিন রাত্রি গেছে কেটে !
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
It was like that with her mother – memory upon memory stacked together like the feathers in a wild bird, there to keep her warm, or when she needed to, fly. She was the wings of her, the very wings.
Tahmima Anam (The Good Muslim (Bangla Desh, #2))
কবিতা, তোমাকে ছেড়ে কতকাল বেঁচে-বর্তে আছি! তা-ব'লে আমাকে কিন্তু তুমি ছেড়ে থেকো না, আমাকে তোমার বুকের মধ্যে হেলায়-ফেলায় পুষে রেখো। তুমি ঘর ছেড়ে গেলে আমি কোন্ বানপ্রস্থে যাবো?
Nabaneeta Dev Sen (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কোথায় লুকাবে মুখ কোন্ নিঃস্ব হৃদয় গভীরে কোথায় মেলাবে তুমি দৃষ্টিভ্রান্ত বিক্ষত হৃদয় যতবার তুমি চাও মেঘ ভাঙা রৌদ্রের বিভাস সন্ধ্যার সন্ধানী হাত খুঁজে আনে রাত্রির সংশয়।
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ৪)
মৃদু পায়ে এসো না হে ভালোবাসা, হঠাৎ দস্যুর মতো এসো।
Sarat Kumar Mukhopadhyay (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো ‘এই আকাশ আমার’ কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো, ‘ফুল তুই আমার’ তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে। জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে, তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’ কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর। মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক ? তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আমি তোমার, তুমি আমার’।
Shamsur Rahman
মনে রাখব না এই আকাঙ্ক্ষার তীব্র ভাষাগুলি, তীব্রতর সুখ আর তীব্রতম যন্ত্রণার কথা— রক্তের গভীর স্রোত ঘিরে থাকবে অপার শূন্যতা, বর্ণহীন অন্ধকার মেলে ধরবে অস্থির অঙ্গুলি। সব ফেলে একদিন চলে যাব, প্রেম-স্মৃতি-ঘৃণা— আনন্দ-বিষাদ, সব ; জানবে না তুমি কোনোকালে। পরবাসী হাওয়া এসে বলে যাবে, হে করুণাহীনা, বিচ্ছেদের শেষ স্পর্শ থাকবে কোন্ তমালের ডালে।
Pronabkumar Mukhopadhyay (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
আমার বেদনাখানি রেখে যাবো বাঁশির ভেতরে অনেক ঋতুর শেষে তুমি এসে তুলে নিলে বেজে উঠবে আনন্দলহরী এভাবেই চিরকাল মুছে যাবে তোমার আমার সমূহ দূরত্বকথা সকল অন্তর
Prasun Bandyopadhyay (কাব্যসংগ্রহ)
পরমুখাপেক্ষী দিন, কালো সূত্রপাত, মুখনাড়া— হয়তো প্রকাশ্য নয়, ভিক্ষা তবু, হাতপাতা তবু একদিন একদিন ক'রে ঋণ যায় দানের মকুবে অমানী অক্রোধী দিন, অপ্রবাসী ভাড়ার বাড়িতে পিছনে উচ্ছেদপত্র, দুয়ারে প্রস্তুত ঠেলাগাড়ি তবুও ছপ্পড় ফুঁড়ে প্রেম আসে গরিবের বাড়ি
Joy Goswami (আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো)
এমন দিনে তারে বলা যায় এমন ঘনঘোর বরিষায়। এমন দিনে মন খোলা যায়— এমন মেঘস্বরে, বাদল-ঝরোঝরে তপনহীন ঘন তমসায়। ... দু কথা বলি যদি কাছে তার তাহাতে আসে যাবে কিবা কার? ব্যাকুল বেগে আজি বহে যায়, বিজুলি থেকে থেকে চমকায়। যে কথা এ জীবনে, রহিয়া গেল মনে সে কথা আজি যেন বলা যায়— এমন ঘনঘোর বরিষায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিতা আমাকে বাঁচিয়েছে অনেকবার, অনেকদিন। বহু অপ্রস্তুত মুহূর্তে, বহু বিহ্বল অপমানে, বহু গ্লানিময় পরাজয়ে, বহু নির্দয় শোকে, নিষ্করুণ আঘাতে, নিরুদ্দেশ অস্থিরতায়, নির্জীব একাকীত্বে, নিষ্ফল প্রয়াসে, নির্মম ঔদাসীন্যে, নিশ্চল স্থবিরতায় হঠাৎ এসে উদ্ধার করেছে আমায় কবিতা। আমি তাকে ভুলে থেকেছি অনেকবার। সে আমায় ভোলেনি। কখন যেন কাছে এসে দাঁড়িয়েছে, মাথায় বুলিয়েছে শুশ্রূষার আঙুল, নিদ্রাহীন চোখে মাখিয়েছে মায়াবী অঞ্জন, শব্দের পর শব্দ গিয়েছে যুগিয়ে। নতুন সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আমি ভুলে গিয়েছি সব অপমান, অস্থিরতা, শোক, পরাজয়, আঘাত, স্থবিরতা, ঔদাসীন্য, একাকীত্ব। কবিতা আমার প্রথম ও শেষ প্রেমিকা। আমার তৃষ্ণা, বাসনা, নিঃশ্বাস। আমার নিয়তি।
Pronabkumar Mukhopadhyay (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
নদীর বৈকালিক ছায়ার মতো শীতল হয়ে আছে— স্তব্ধতার বালুকাময় শবাগার। যখনই মনে পড়ে সুপারিবাগান ঘেরা মাটিরঙা স্মৃতিগুচ্ছ আর শব্দগুল্মের কথা, তার কথা, আলগোছে ভাবি, ফের যদি ডাক দিই তাকে? ফের যদি নতজানু হই। সহসা নিশ্চুপে আমি আমাকেই বলি, ফের তুমি নতজানু হবে? কাকে ডাকবে? কাকে ফের জানাবে আমন্ত্রণ? কার প্রতি হবে নতজানু? দায়হীন বেলুনওয়ালার মতো যেকোনো দৈনন্দিন অছিলায় তোমাকে বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছিলো যে, তার প্রতি? তার অন্তিম উচ্চারণগুলো মগ্নচৈতন্যের মতো করাঘাত করে আমার অস্তিত্বের সদরে-অন্দরে। তখন আমি আমন্ত্রণ মুছে, ভাবনা মুছে, স্মৃতি মুছে, বালুকাকণা ঝেড়ে ফেলি আস্তিনের ভাঁজ থেকে, ইচ্ছে আর আকাঙ্ক্ষার রঙিন চিরকুটগুলো নিস্পৃহ নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে ফের তীক্ষ্ণ ইস্পাত-অস্ত্রের মতো শিরদাঁড়া সোজা করে হেঁটে চলে যাই অবিরল বিস্মরণের দিকে।
সিরাজুল ইসলাম
বলের মতন মুখে মারছো ভালোবাসার ঝাপটা, রাখতে পারি ক্ষমতা কই— বুকের জমি রুক্ষ ধুলোয় শুয়ে ধুলো মাখছে শরীর নামে জন্তু, মোরগ হয়ে নাচে আমার ভুবনব্যাপী দুঃখ।
Sarat Kumar Mukhopadhyay (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে, অথচ আমার ব্যাপক বিরহ ভূমি। ছুটে যেতে চাই— পথ যায় পায়ে থেমে, ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নোখে তুমি।
Rudra Mohammad Shahidullah (মৌলিক মুখোশ)
লুকিয়ে রেখো না কোনো গোপন সিন্দুকে কিংবা লিখো না দলিলে না দিলে থাকে না কিছু, ভালোবাসা ডুবে যায় স্বখাত সলিলে!
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ৩)
মর্মমূলে বিঁধে আছে পঞ্চমুখী তীর, তার নাম ভালোবাসা। কেটেছে গোক্ষুরে যেন, নীল হয়ে গিয়েছে শরীর, তার নাম ভালোবাসা।
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
Throughout Indian history, the thoughts of Muslim women have been ignored, overlooked, regarded with a sense of being ahead of this time, or out of place. This is the conundrum of being invisible, and very much seen. I italicize non-English words because they look more beautiful that way. Since we can’t honor the beauty of their own script and still be legible to most readers of English, I want to give the words their own space. Some think of italics as othering, but I am Other when I speak my mother language. Words in Bangla or Arabic or Urdu have their own weight separate from English. America took my first language, mother language, gave me my life language. I don’t recall the feeling of my first language fading as I learned the language I write, love, and fight in best.
Tanaïs (In Sensorium: Notes for My People)
সকল দুয়ার খোলা আছে নিমন্ত্রণ-লিপি গাছে গাছে গাঢ় চুম্বনের মতো আকাশ নদীর খুব কাছে রোদে ঝলোমলো। কখন আসছো তুমি বলো? বেলা যায়, দেরি হয়ে যায় বাসি ফুল বাগানে শুকায় অন্যান্য সমস্ত লোক আড়ম্বরপূর্ণ হেঁটে যায় দূরের উৎসবে। তোমার কি আরো দেরি হবে?
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
এক-একবার মনে হয় যে, এই জীবনের যাবতীয় ভ্রমণ বোধহয় ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু ঠিক তখনই আমার চোখের সামনে হঠাৎ খুলে যায় সেই রাস্তা, যার ধুলো উড়িয়ে আমি কখনও হাঁটিনি। এক-একবার মনে হয় যে, যাবতীয় ভালোবাসাবাসির ঝামেলা বোধহয় মিটিয়ে ফেলতে পেরেছি। কিন্তু ঠিক তখনই আমার হৃৎপিণ্ড মুচড়ে দিয়ে হঠাৎ জেগে ওঠে অভিমান।
Nirendranath Chakraborty (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)
আমি উড়ে বেড়াই আমি ঘুরে বেড়াই আমি সমস্ত দিনমান পথে পথে পুড়ে বেড়াই কিন্তু আমার ভালো লাগে না যদি ঘরে ফিরে না দেখতে পাই তুমি আছো তুমি।
Shankha Ghosh (শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
আমার কেউ নাম রাখেনি, তিনটে চারটে ছদ্মনামে আমার ভ্রমণ মর্ত্যধামে, আগুন দেখে আলো ভেবেছি, আলোয় আমার হাত পুড়ে যায় অন্ধকারে মানুষ দেখা সহজ ভেবে ঘূর্ণিমায়ায় অন্ধকারে মিশে থেকেছি কেউ আমাকে শিরোপা দেয়, কেউ দু' চোখে হাজার ছি ছি তবুও আমার জন্ম-কবচ, ভালোবাসাকে ভালোবেসেছি আমার কোনো ভয় হয় না, আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় না, মৃত্যু হয় না।
Sunil Gangopadhyay (কবিতা সমগ্র ১)
তবুও ভালোবেসে ভীষণ সুখ আছে, পতনে আছে তবু সিদ্ধি, তবুও ক্ষত নেই পায়ের গোড়ালিতে তোমার কাঁটাবনে হাঁটলেও ; তোমারই কীর্তি এ, তুমিই দিতে পারো দু'হাতে বিপরীত অর্জন— বিষাদ ও পূর্ণিমা, তুষার ও পলিমাটি, নশ্বরতা আর নির্বাণ।
Syed Shamsul Haque (শ্রেষ্ঠ কবিতা)
আজ সব খুলে দিও, কোনো ফুল রেখো না আড়ালে ভূ-মধ্যসাগরও যদি চাই, দিও দু'হাত বাড়ালে। দ্বিপ্রহরে যদি চাই গোধূলি বেলার রাঙা ঠোঁট গোধূলিতে জ্যোৎস্না যদি চাই কাঠের চেয়ারে বসে যদি বলি হতে চাই কীর্তিনাশা নদী সমস্ত কল্লোল দিও কোনো ঢেউ রেখো না আড়ালে। ভূ-মধ্যসাগরও যদি চাই, দিও দু'হাত বাড়ালে।
Purnendu Pattrea (পূর্ণেন্দু পত্রীর শ্রেষ্ঠ কবিতা)