Jibanananda Das Quotes

We've searched our database for all the quotes and captions related to Jibanananda Das. Here they are! All 62 of them:

তবু তোমাকে ভালোবেসে মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে বুঝেছি অকূলে জেগে রয় ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয় ।
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে বলিলাম: ‘একদিন এমন সময় আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!– পঁচিশ বছর পরে!
Jibanananda Das
যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
হেঁয়ালি রেখো না কিছু মনে; হৃদয় রয়েছে ব'লে চাতকের মতন আবেগ হৃদয়ের সত্য উজ্জ্বল কথা নয়,- যদিও জেগেছে তাতে জলভারানত কোনো মেঘ; হে প্রেমিক, আত্মরতিমদির কি তুমি? মেঘ;মেঘ, হৃদয়ঃ হৃদয়, আর মরুভূমি শুধু মরুভূমি..
Jibanananda Das
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হল তার সাধ ।
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
কতো দেহ এলো,- গেল,- হাত ছুঁয়ে-ছুঁয়ে দিয়াছি ফিরায়ে সব,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি,- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নিয়া তুমি কি আসিবে কাছে
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই হয় কথা, আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের 'পরে!
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন - যেন কোন বির্কীন জীবন অধিকার ক’রে আছে ইহাদের মন; চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বথের কাছে একগাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা - একা, যে জীবন ফড়িঙের,দোয়েলের-মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা এই জেনে।
Jibanananda Das
ভগবান, ভগবান, তুমি যুগ যুগ থেকে ধ'রেছ শুঁড়ির পেশা
Jibanananda Das (ঝরা পালক)
কি কথা তাহার সাথে? তার সাথে!
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
নক্ষত্রেরা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর। - জর্নাল : ১৩৪৬
Jibanananda Das
তোমার শরীর ,- তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন চক্ষু এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়ে গেছি ,- পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে কত দিন রাত্রি গেছে কেটে !
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন
Jibanananda Das
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে - সে কেন জলের মত ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?
Jibanananda Das
চোখে তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার ! স্তন তার করুণ শঙ্খের মতো- দুধে আর্দ্র- কবেকার শঙ্খিনীমালার! এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর। ---শঙ্খমালা
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
যে-পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস—আকাশ তোমার। জীবনের স্বাদ ল’য়ে জেগে আছো, তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে পারো তুমি;
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার- তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার! - কুড়ি বছর পরে
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে। জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না : আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশ কবিতা সমগ্র)
একদিন—একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা! একরাত—একদিন করেছি মৃত্যুরে অবহেলা । একদিন—একরাত;—তারপর প্রেম গেছে চ'লে,— সবাই চলিয়া যায়, —সকলের যেতে হয় ব'লে
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেলো, নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে, একটা দূর নক্ষত্রের মাস্তুলকে তারায়-তারায় উড়িয়ে দিয়ে চলল একটা দুরন্ত শকুনের মতো।
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
আমরা যাই নি মরে আজও--তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়: মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জোছনার প্রান্তরে, প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন--এখনও ঘাসের লোভে চরে পৃথিবীর কিমাবার ডাইনামোর 'পরে।
Jibanananda Das (সাতটি তারার তিমির)
তুমি একা! তোমারে কে ভালোবাসে! — তোমারে কি কেউ বুকে করে রাখে! জলের আবেগে তুমি চলে যাও — জলের উচ্ছ্বাসে পিছে ধু ধু জল তোমারে যে ডাকে! - সহজ
Jibanananda Das
একবার যখন দেহ থেকে বা'র হয়ে যাব আবার কি ফিরে আসবো না আমি পৃথিবীতে? আবার যেন ফিরে আসি কোনো এক শীতের রাতে একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে কোন এক পরিচিত মুমূর্ষুর বিছানার কিনারে।
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
বোধ আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাছ তুচ্ছ হয়, পন্ড মনে হয়, সব চিন্তা — প্রার্থনার সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয়! সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে! কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে সহজ লোকের মতো! তাদের মতন ভাষা কথা কে বলিতে পারে আর! — কোন নিশ্চয়তা কে জানিতে পারে আর? — শরীরের স্বাদ কে বুঝিতে চায় আর? — প্রাণের আহ্লাদ সকল লোকের মতো কে পাবে আবার! সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর স্বাদ কই! — ফসলের আকাঙক্ষায় থেকে, শরীরে মাটির গন্ধ মেখে, শরীরে জলের গন্ধ মেখে, উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে চাষার মতণ প্রাণ পেয়ে কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর পরে? স্বপ্ন নয়, শান্তি নয়,কোন এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে!
Jibanananda Das (জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা)
আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে; বলেছিলো: ‘এ নদীর জল তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল: সব ক্লান্তি রক্তের থেকে স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি; এই নদী তুমি। ‘এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?’ মাছরাঙাদের বললাম; গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম। আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি; জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।
Jibanananda Das
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই—প্রীতি নেই—করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয় মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়। A strange darkness has come upon the world today. They who are most blind now see, Those whose hearts lack love, lack warmth, lack pity's stirrings, Without their fine advice, the world today dare not make a move. They who yet possess an abiding faith in man, To whom still now high truths or age-old customs, Or industry or austere effort all seem natural, Their hearts are victuals for the vulture and the jackal. Translated by: Clinton B. Seely
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু-একই আলোপৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?’- বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিকে; আজ এই মাঠ সূর্য সহধর্মী অঘ্রাণ কার্তিকে প্রাণ তার ভরে গেছে।
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে? অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন সেদিন তোমার। তোমার আকাশ—আলো—জীবনের ধার ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল? আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই, শুধু তার স্বাদ তোমারে কি শান্তি দেবে। আমি চ’লে যাবো—তবু জীবন অগাধ
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
চারিদিকে এখন সকাল— রোদের নরম রং শিশুর গালের মতো লাল; মাঠের ঘাসের প'রে শৈশবের ঘ্রাণ— পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের এসেছে আহ্বান । চারিদিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল, তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা-ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল; প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে-থেকে আসিতেছে ভেসে পেঁচা আর ইঁদুরের ঘ্রাণে ভরা আমাদের ভাঁড়ারের দেশে! :অবসরের গান
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়?
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
তুমি আর আমি ঠাণ্ডা ফেনা ঝিনুকের মতো চুপে থামি সেইখানে রবো প’ড়ে- যেখানে সমস্ত রাত্রি নক্ষত্রের আলো পড়ে ঝরে সমুদ্রের হাওয়া ভেসে আসে, গান গায় সিন্ধু তার জলের উল্লাসে। ~কয়েকটি লাইন
Jibanananda Das (ধূসর পাণ্ডুলিপি)
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতাে সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে; আবার তাহারে কেন ডেকে আন? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালােবাসে! হায় চিল, সােনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর উড়ে উড়ে কেঁদো নাকো ধানসিড়ি নদীটির পাশে।
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
তোমায় আমি দেখেছিলাম ব’লে তুমি আমার পদ্মপাতা হলে; শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরে শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে ।
Jibanananda Das (অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র)
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে : আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার। যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে অথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি, সেই নারীর মতো ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়েছে উঠছে। মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা সেই নগরীর এক ধূসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে। ভারতসমুদ্রের তীরে কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে আজ নেই, কোন এক নগরী ছিল একদিন, কোন এক প্রাসাদ ছিল; মূল্যবান আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ; পারস্য গালিচা, কাশ্মিরি শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মুক্তা প্রবাল, আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা; আর তুমি নারী - এই সব ছিল সেই জগতে একদিন। অনেক কমলা রঙের রোদ ছিল, অনেক কাকাতুয়া পায়রা ছিল, মেহগনির ছায়াঘন পল্লব ছিল অনেক; অনেক কমলা রঙের রোদ ছিল; অনেক কমলা রঙের রোদ; আর তুমি ছিলে; তোমার মুখের রূপ কত শত শতাব্দী আমি দেখি না, খুঁজি না
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
পৃথিবী প্রবীণ আরো হ'য়ে যায় মিরুজিন নদীটির তীরে; বিবর্ণ প্রাসাদ তার ছায়া ফেলে জলে। ও-প্রাসাদে কারা থাকে? কেউ নেই- সোনালি আগুন চুপে জলের শরীরে নড়িতেছে- জ্বলিতেছে- মায়াবীর মতো জাদুবলে। সে-আগুন জ্ব'লে যায়- দহেনাকো কিছু।                         সে-আগুন জ্ব'লে যায়                         সে-আগুন জ্ব'লে যায় সে-আগুন জ্ব'লে যায় দহেনাকো কিছু। নিমীল আগুনে অই আমার হৃদয়                         মৃত এক সারসের মতো।                         পৃথিবীর রাজহাঁস নয়-                         নিবিড় নক্ষত্র থেকে যেন সমাগত সন্ধ্যার নদীর জলে এক ভিড় হাঁস অই- একা; এখানে পেল না কিছু; করুণ পাখায় তাই তারা ব'লে যায় শাদা, নিঃসহায়। মূল সারসের সাথে হ'লো মুখ দেখা।
Jibanananda Das (সাতটি তারার তিমির)
শুধু কথা— গান নয় নীরবতা রচিতেছে আমাদের জীবন
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
শুধু কথা— গান নয় নীরবতা রচিতেছে আমাদের জীবন।
Jibanananda Das (রূপসী বাংলা)
স্বপ্ন পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি নিস্তব্ধ ছিলাম ব'সে; শিশির পড়িতেছিলো ধীরে-ধীরে খ'সে; নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি উড়ে গেলো কুয়াশায়, — কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো। তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি? অন্ধকার হাৎড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি; যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো? কার মুখ? —আমলকী শাখার পিছনে শিঙের মত বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো তাহা; এ-ধূসর পান্ডুলিপি একদিন দেখেছিলো, আহা, সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে। তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
আগুন বাতাস জল: আদিম দেবতারা তাদের সর্পিল পারিহাসে তোমাকে দিল রূপ- কী ভয়াবহ নির্জণ রূপ তোমাকে দিল তারা ; তোমার সংস্পর্শের মানুষের রক্তে দিল মাছির মতো কামনা। আগুন বাতাস জল: আদিম দেবাতারা তাদের বঙ্কিম পরিহাসে আমাকে দিল লিপি রচনা করবার আবেগ: যেন আমিও আগুন বাতাস জল, যেন তোমাকেও সৃষ্টি করছি।
Jibanananda Das (মহাপৃথিবী)
আমরা এ-পৃথিবীর বহুদিনকার কথা কাজ ব্যথা ভুল সংকল্প চিন্তার মর্যাদায় গড় কাহিনীর মূল্য নিংড়ে এখন সঞ্চয় করেছি বাক্য শব্দ ভাষা অনুপম বাচনের রীতি । মানুষের ভাষা তবু অনুভূতিদেশ থেকে আলো না পেলে নিছক ক্রিয়া; বিশেষণ; এলোমেলো নিরাশ্রয় শব্দের কঙ্কাল; জ্ঞানের নিকট থেকে ঢের দূরে থাকে । অনেক বিদ্যার দান উত্তরাধিকারে পেয়ে তবু আমাদের এই শতকের বিজ্ঞান তো সংকলিত জিনিসের ভিড় শুধু— বেড়ে যায় শুধু; তবুও কোথাও তার প্রাণ নেই ব’লে অর্থময় জ্ঞান নেই আজ এই পৃথিবীতে; জ্ঞানের বিহনে প্রেম নেই । এ-যুগে কোথাও কোনো আলো— কোনো কান্তিময় আলো চোখের সুমুখে নেই যাত্রিকের; নেই তো নিঃসৃত অন্ধকার রাত্রির মায়ের মতো: মানুষের বিহ্বল দেহের সব দোষ প্রক্ষালিত ক’রে দেয়— মানুষের বিহ্বল আত্মাকে লোকসমাগমহীন একান্তের অন্ধকারে অন্তঃশীল ক’রে তাকে আর সুধায় না— অতীতের সুধানো প্রশ্নের উত্তর চায় না আর— শুধু শব্দহীন মৃত্যুহীন অন্ধকারে ঘিরে রাখে, সব অপরাধ ক্লান্তি ভয় ভুল পাপ বীতকাম হয় যাতে— এ-জীবন ধীরে-ধীরে বীতশোক হয়
Jibanananda Das (সাতটি তারার তিমির)
...বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি— কুয়াশার পাখনায়— সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে-আলোক জোনাকির দেহ হতে— খুঁজেছি তোমাকে সেইখানে— ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রাণের অন্ধকারে ধানসিঁড়ি বেয়ে-বেয়ে সোনার সিঁড়ির মতো ধানে আর ধানে তোমারে খুঁজেছি আমি নির্জন পেঁচার মতো প্রাণে।" -জীবনানন্দ দাশ
Jibanananda Das
একদিন মা বেঁচেছিলেন। মা খুব স্নেহ সরসতর মানুষ ছিলেন; কিন্তু তখনই কলকাতায় চাকরি শুরু করে মার সঙ্গে শ্যামবাজারের একটা একতলা বাড়িতে এক কোঠায় যে দিনগুলো কাটিয়েছে সে- প্রত্যেকটা দিনের কথা মনে আছে তার। সহজ কঠিন মৃদু নিরেস, কেমন নির্জলা জলীয় দিনগুলো জীবনের। ভাবত, মাকে মানুষ সূতিকাঘরের থেকেই পায় কি না- রোজই পায়- অনেক পায়- জননীগ্রন্থি কেটে যায় তাই শিগগিরই- নতুনত্ব হারিয়ে যায়। ভাবত, মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন মায়ের মমতা সজলতা এত স্বাভাবিক বলেই আলো-জল-বাতাসের মত সুলভ মনে হয়। একজন অপরিচিত মেয়েকে মনে ধরলে তার সহজ স্বাভাবিক সত্তাকে পায়ের নিচের মাটির, মেটে খুরির জলের মতো সহজ ভেবে নিতে সময় লাগে। কাছে থাকলেও দূর- তার স্বচ্ছ সরল প্রকাশ ভানুমতীর খেলার মতোই আপতিত হচ্ছে কী সহজে- কিন্তু তবুও কীরকম আঁধার, কঠিন, নিবিড়। এইসব ভেবে ভেবে কেমন কুন্ঠিত হয়ে পড়ত মাল্যবানের মন; মার কাছে ঘাট হয়েছে বলে তার প্রতি শ্রদ্ধায়, পথে-ঘাটে মনে ধরে গেছে নারীটির প্রতি উদাসীনতায় এবং নিজের প্রতি ধিক্কারে নিজেকে সে সজাগ করে রাখত।
Jibanananda Das (মাল্যবান)
Dhiren broke the silence by starting to hum a tune under his breath,,,, 'The smile of the moon has spilled over its banks'......I was filled with - with what? An affectionate contempt? A sense of ridicule? Shock that Dhiren, the earthy, self-styled tough guy, had any truck with the kind of music he'd consider effeminate? Tagore seemed to be carried inside all Bengalis, regardless of class or social background, like some inheritable disease, silent, unknown, until it manifested itself at the unlikeliest of times. How irredeemably middle class all this was: The Little Red Book and On Practice on the one hand; on the other hand, the poetry of Jibanananda Das in his cloth sidebag and a coy, cloying Tagore song almost involuntary on his lips. There really was no hope of escape for us. ...... For god's sake, Mao by day and Tagore by moonlight? Dhiren didn't miss a beat - That's quintessential Bengali soul for you.
Neel Mukherjee (The Lives of Others)
I Have Seen Bengal’s Face - Poem by Jibanananda Das Autoplay next video I have seen Bengal’s face, that is why I do not seek Beauty of the earth any more: I wake up in the dark And see the dawn’s magpie-robin perched under the parasol-like huge leaf Of the fig tree – on all sides I see mounds of leaves of Black plum – banyan – jackfruit – oak – pipal lying still; Their shadows fall on the spurge bushes on zedoary clumps; Who knows when Chand near Champa from his madhukar boat Saw such oaks – banyans – gamboge’s blue shades Bengal’s beauty incomparable. Behula too someday floating on raft on Gangur’s water – When the fullmoon of the tenebrous twelfth night died on the river’s shoal – Saw countless pipals and banyans beside the golden corn, Alas, heard the tender songs of shama – and one day going to Amara. When she danced like a torn wagtail in Indra’s court Bengal’s river field, wild violets wept at her feet like anklet bells.
Jibanananda Das (Bengal the Beautiful)
মোর তরে পিছুডাক মাটি-মা, তোমার! ডেকেছিল ভিজে ঘাস-হেমন্তের হিম মাস, জোনাকির ঝাড়! আমারে ডাকিয়াছিল আলেয়ার লাল মাঠ-শ্মশানের খেয়াঘাট আসি! কঙ্কালের রাশি, দাউদাউ চিতা- কত পূর্বজাতকের পিতামহ-পিতা, সর্বনাশ ব্যসন-বাসনা, কত মৃত গোক্ষুরার ফণা, কত তিথি, কত যে অতিথি, কত শত যোনিচক্রস্মৃতি করেছিল উতলা আমারে! আধো আলো-আধেক আঁধারে মোর সাথে মোর পিছে এল তারা ছুটে মাটির বাটের চুমা শিহরি উঠিল মোর ঠোটে-রোমপুটে! ধু ধু মাঠ-ধানক্ষেত-কাশফুল-বুনোহাস-বালুকার চর বকের ছানার মতো যেন মোর বুকের উপর এলোমেলো ডানা মেলে মোর সাথে চলিল নাচিয়া! :সেদিন এ ধরণীর
Jibanananda Das (ঝরা পালক)
তুমি কি গ্রীস পোল্যাণ্ড চেক প্যারিস মিউনিক টোকিও রোম ন্যুইয়র্ক ক্রেমলিন আটলান্টিক লণ্ডন চীন দিল্লী মিশর করাচী প্যালেস্টাইন? একটি মৃত্যু, এক ভূমিকা, একটি শুধু আইন।’ বলছে মেশিন। মেশিনপ্রতিম অধিনায়ক বলে: ‘সকল ভূগোল নিতে হবে নতুন ক’রে গ’ড়ে আমার হাতে গড়া ইতিহাসের ভেতরে, নতুন সময় সীমাবলয় সবই তো আজ আমি; ওদের ছোঁয়া বাঁচিয়ে আমার সত্ত্বাধিকারকামী; আমি সংঘ জাতি রীতি রক্ত হলুদ নীল; সবুজ শাদা মেরুন অশ্লীল নিয়মগুলো বাতিল করি; কালো কোর্তা দিয়ে ওদের ধূসর পাটকিলে বফ্ কোর্তা তাড়িয়ে আমার অনুচরের বৃন্দ অন্ধকারের বার আলোক ক’রে কী অবিনাশ দ্বৈপ-পরিবার। :অনন্দা
Jibanananda Das (অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র)
No, sir, something the Singapore people must understand,” the man continues. “In Bangladesh, we all read Rabindranath Tagore, the Nobel Prize winner. Even the poorest children also can recite famous Tagore poems. My father used to read Jibanananda Das’s poems to me. You know the writer Mohammad Rafiq? I wanted to study with him. Everybody in my country is a poet.
Balli Kaur Jaswal (Now You See Us)
অনন্ত জীবন যদি পাই আমি— তা হলে অসীমকাল একা পৃথিবীর পথে যদি ফিরি আমি— ট্রাম বাস ধুলো দেখিব অনেক আমি— দেখিব অনেকগুলো বস্তি, হাট— এঁদো গলি, ভাঙা কলকি হাঁড়ি, মারামারি, গালাগালি, ট্যারা চোখ, পচা চিংড়ি— কত কী দেখিব নাহি লেখা তবুও তোমার সাথে অনন্তকালেও আর হবেনাকো দেখা।
Jibanananda Das (রূপসী বাংলা)
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য;
Jibanananda Das (বনলতা সেন)
তুমি শুধু একদিন ব্যথা হয়ে এসেছিলে কবে সেদিকে ফিরিনি আর, চড়ুই এর মতো আমি ঘাস খড় পাতার আহ্বানে চলে গেছি, এ জীবন কবে যেন মাঠে মাঠে ঘাস হয়ে রবে।
Jibanananda Das
במשך אלפי שנים אני הולך על דרכו של כדור הארץ, ים סינהאלי בחושך הלילה בים המלאי הפכתי רבים; העולם האפור של בימביסה אשוק אני הייתי שם; עוד חשכה מרוחקת בוידארב נאגאר; אני נשמה עייפה, ים החיים מסביב, בנלטה סן של נטורה נתן לי שלום בלתי מוגבל השיער הוא nidha כהה של Bidisha, הפנים הן אמנות עבודתו; אחרי הים " המפסק של המלח נשבר כשראה את ארץ הדשא הירוקה באי קינמון, כמו כן, הוא ראה את החושך; הוא אמר, 'איפה הוא היה כל כך הרבה זמן?' בנאלטה סן נטורה מרים את עיניו כמו קן ציפור. בסוף היום, כמו מילות טל הערב מגיע; ניחוח הכנפיים מנקה את הריח. כאשר כל הצבעים של העולם נשארים בחוץ, כתבי יד מאורגנים אז יש נרקומן בצבע של ג'ונאקי; כל הציפורים נכנסות לבית - כל העסקאות בנחל-הפור הזה; יש רק חושך, בונלאטה סן פנים אל פנים. Banalata Sen
Jibanananda Das
محسوس کرو ( Bodh ) شاعر: جبانندا داس روشنی اندھیرے میں جاتا ہے - سر کے اندر خواب نہیں، کوئی بھی کام نہیں کرتا! ایک خواب نہیں - امن نہیں - محبت نہیں، دل کے درمیان دل کا احساس! میں اس سے بچ نہیں سکتا اس نے اپنا ہاتھ ہاتھ میں رکھ دیا. سب کچھ چھوٹی ہے، طالاب بنتا ہے، تمام خیالات - نماز کے ہر وقت یہ خالی لگتا ہے، صفر لگ رہا ہے! ایک سادہ آدمی کی طرح چل سکتا ہے! اندھیرے میں کون اس روشنی کو روک سکتا ہے سادہ لوگوں! ان کی زبانیں بولیں کون کہہ سکتا ہے کوئی ضمانت نہیں کون جان سکتا ہے جسمانی ذائقہ کون سمجھنا چاہتی ہے زندگی کی جڑیں کون سب لوگ دوبارہ ہو گا تمام لوگوں کی طرح بیجوں کو بونا ذائقہ کہاں ہے فصلوں کی نظر سے، جسم مٹی کے بوسے، جسم پانی کی بو بو ہے، روشنی کے منتظر ایک کسان کی طرح، زندگی ایک کسان کی طرح ہے دنیا کے بعد راہب کون سا ہے؟ ایک خواب نہیں، امن نہیں، کوئی بھی کام نہیں کرتا سر کے اندر! راستے پر ہوسکتے ہیں - کراسنگ کیبل کو نظر انداز کرنا چاہتے ہیں کھوپڑی کی طرح میں جاننا چاہتا ہوں، سر رہنا چاہتا ہوں گھومنے کی طرح لیکن وہ سر کے گرد ہے! لیکن وہ آنکھوں کے ارد گرد ہے! لیکن وہ سینے کے گرد ہے! میں چلتا ہوں، وہ ساتھ آتا ہے! میں روکتا ہوں وہ رک جاتا ہے تمام لوگوں کے درمیان بیٹھا میرا اپنا پیسہ میں اکیلے رہنے کے لئے مختلف ہوں؟ میری آنکھیں صرف ایک پہیلی ہیں؟ میرے راستے پر صرف رکاوٹوں؟ جو لوگ اس دنیا میں پیدا ہوئے ہیں بچے کی طرح بچے کو جنم دو کئی بار جو کاٹ گئے ہیں یا آج بچے کو جنم دینا پڑے گا جن میں سے یا جو دنیا میں ہے وہ بستر پر آ رہے ہیں پیدائش دینا - پیدائش دینا ان کا دل سر کی طرح ہے میرا دل نہیں ہے ان کے دماغ میرا دماغ پسند نہیں ہے؟ وہ واحد کیوں ہے؟ ابھی تک میں اکیلے ہوں میں نے نہیں دیکھا کہ آیا کسان کے قیام؟ پانی میں پانی نہ ڈالو؟ ہم میدان میں کتنے بار ہیں؟ گوشت کی طرح کتنے دریا ہیں؟ تبدیل طالاب کی طالاب جسم کی خوشبو ہے جسم پر پکڑ لیا گیا یہ سب ذائقہ ہے مجھے یہ سب مل گیا جیسے ہوا ہوا مفت ہے زندگی، زندگی ستارے کے نیچے سو رہی دماغ ہے ایک دن؛ یہ سب ممکن ہے میں ایک دن آزاد مردہ جانتا ہوں. میں انہیں چھوڑتا ہوں مجھے لڑکی سے محبت ہے، نظر انداز کر کے، میں نے لڑکی کو آدمی میں دیکھا ہے، لڑکی سے نفرت اس نے مجھے پیار کیا قریب آیا، میں نے اسے نظر انداز کیا، نفرت چلی گئی ہے - جب بار بار کال کیا محبت کیبلز؛ ابھی تک اس کا پیچھا ایک دن تھا. میں اس کی غفلت کی زبان ہوں میں اس کے نفرت سے نفرت کرتا ہوں نظر انداز اس ستارہ ستارے غلطی جس طرح سے میرا پیار بار بار رکاوٹ ہے میں اسے بھول گیا ابھی تک یہ محبت - مٹی اور مٹی -. سر کے اندر ایک خواب نہیں - پیار نہیں - کوئی بھی کام محسوس کرتا ہے کرو میں سب معبودوں کو چھوڑتا ہوں میں اپنی روح میں آیا، میں اپنے دل میں یہ کہتا ہوں؛ وہ اکیلے پانی کی چراغ کی طرح بات کیوں کرتا تھا؟ کیا اس کی تھکاوٹ نہیں ہے؟ کیا اس کی سلامتی کا وقت ہے؟ کسی بھی وقت سونے نہیں؟ آہستہ آہستہ ذائقہ آپ کیا نہیں لیں گے؟ خوشی نہیں ملے گی لوگوں کے چہرے کو دیکھنے کے لئے کچھ وقت! کوئی بھی آدمی کا چہرہ دیکھتا ہے! بچوں کے چہرے کو دیکھنے کے لئے کچھ وقت! یہ محسوس - صرف یہ ذائقہ وہ گہری ہے! زمین کی راہ چھوڑ، آسمان میں ستارے کی راہ وہ نہیں چاہتا حلف بنو کیا وہ آدمی کا سامنا کرے گا کیا وہ ایک آدمی کا سامنا کرے گا؟ کیا وہ بچوں کے چہرے دیکھیں گے؟ سیاہ محرم، کان میں بہرے ہے، جس میں گوشت میں اضافہ ہوا ہے کھو ککڑی - سڑے ہوئے پولٹری کے سڑنا میں، جو لوگ دل میں بڑھے ہیں یہ سب ہے.
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
It has been a thousand years since I started trekking the earth A huge travel in night’s darkness from the Ceylonese waters to the Malayan sea I have been there too: the fading world of Vimbisara and Asoka Even further—the forgotten city of Vidarva, Today I am a weary soul although the ocean of life around continues to foam, Except for a few soothing moments with Natore’s Banalata Sen. Her hair as if the dark night of long lost Vidisha, Her face reminiscent of the fine works of Sravasti, When I saw her in the shadow it seemed as if a ship-wrecked mariner in a far away sea has spotted a cinnamon island lined with greenish grass. “Where had you been lost all these days? ” yes, she demanded of me, Natore’s Banalata Sen raising her eyes of profound refuge. At the day’s end evening crawls in like the sound of dews, The kite flaps off the smell of sun from its wings. When all colours take leave from the world except for the flicker of the hovering fireflies The manuscript is ready with tales to be told All birds come home, rivers too, All transactions of the day being over Nothing remains but darkness to sit face to face with Banalata Sen.
Jibanananda Das (Banalta Sen)
One Day Eight Years Ago - Poem by Jibanananda Das It was heard: to the post-mortem cell he had been taken; last night—in the darkness of Falgoon-night When the five-night-old moon went down— he was longing for death. His wife lay beside—the child therewith; hope and love abundant__in the moonlight—what ghost did he see? Why his sleep broke? Or having no sleep at all since long—he now has fallen asleep in the post-mortem cell. Is this the sleep he’d longed for! Like a plagued rat, mouth filled with crimson froth now asleep in the nook of darkness; And will not ever awake anymore. ‘Never again will wake up, never again will bear the endless—endless burden of painful waking—’ It was told to him when the moon sank down—in the strange darkness by a silence like the neck of a camel that might have shown up at his window side. Nevertheless, the owl stays wide awake; The rotten still frog begs two more moments in the hope for another dawn in conceivable warmth. We feel in the deep tracelessness of flocking darkness The unforgiving enmity of the mosquito-net all around; The mosquito loves the stream of life awake in its monastery of darkness. From sitting in blood and filth, flies fly back into the sun; How often we watched moths and flies hovering in the waves of golden sun. The close-knit sky, as if—as it were, some scattered lives, possessed their hearts; The wavering dragonflies in the grasp of wanton kids Fought for life; As the moon went down, in the impending gloom With a noose in hand you approached the aswattha, alone, by yourself, For you’d learnt a human would ne’er live the life of a locust or a robin The branch of aswattha Had it not raged in protest? And the flock of fireflies Hadn’t they come and mingled with the comely bunch of daffodils? Hadn’t the senile blind owl come over and said: ‘the age-old moon seems to have been washed away by the surging waters? Splendid that! Let’s catch now rats and mouse! ’ Hadn’t the owl hooted out this cherished affair? Taste of life—the fragrance of golden corn of winter evening— seemed intolerable to you; — Content now in the morgue In the morgue—sultry with the bloodied mouth of a battered rat! Listen yet, tale of this dead; — Was not refused by the girl of love, Didn’t miss any joy of conjugal life, the bride went ahead of time and let him know honey and the honey of reflection; His life ne’er shivered in demeaning hunger or painful cold; So now in the morgue he lies flat on the dissection table. Know—I know woman’s heart—love—offspring—home—not all there is to things; Wealth, achievement, affluence apart there is some other baffling surprise that whirls in our veins; It tires and tires, and tires us out; but there is no tiring in the post mortem cell and so, there he rests, in the post mortem cell flat on the dissection table. Still I see the age-old owl, ah, Nightly sat on the aswattha bough Winks and echoes: ‘The olden moon seems to be carried away by the flooding waters? That’s splendid! Let’s catch now rats and mouse—’ Hi, granny dear, splendid even today? Let me age like you—and see off the olden moon in the whirlpool at the Kalidaha; Then the two of us will desert life’s abundant reserve.
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
The Cat - Poem by Jibanananda Das All day I inevitably encounter a cat here and there In the shadow of trees or out in the sun, around the pile of fallen leaves; I catch sight of him, deeply engrossed like a bee, with his own self Embedded in the skeleton of white soil Having successfully spotted some bones of fishes somewhere; But still, nevertheless, he scratches at the trunk of the Krishnachura tree All day he moves about stalking the sun. Now he shows up here The next moment he is lost somewhere. I spot him in the autumn dusk playing around As if, with his white paws, he is patting the supple body of the saffron sun; Then he nets up the tiny balls of darkness with his paw And spreads them throughout the world.
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
To Her Steady Lover - Poem by Jibanananda Das There is no meaning in living—I don't say this. There is meaning for some, may be for all—may be a perfect meaning. Yet I hear the white sound of wind-driven birds In the water of the distant seas beneath the burning summer sun. The candle burns slowly, very slowly, on my table; The books of intellect are more still—unwavering— lost in meditation; Yet when you go out on to the streets or even while sitting by the window side Will you sense the frenzied dance of violent waters; Right beside that a book of your cheeks; no more like a lantern, Perhaps like a conch-shell lying on the beach as if ocean's father It is also a music by his own merit—like Nature: caustic—lovable—finally like the most favourite entity. So I get the taste of expansive wind in the airing of maddening grievances; Otherwise in the mind's forest the python coils up around the doe: I feel the pitiable hint of a life like that in the Sceptre of protest. Some glacier-cold still flock of Cormorants will realize my words; When the electric-compass of life will cease They will eat up snow-grey sleep like polar seas in endless grasp.
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
मैंने देखा है बंगाल का चेहरा इसलिए पृथ्वी का रूप देखने कहीं नहीं जाता, अँधेरे में जगे गूलर के पेड़ तकता हूँ, छाते जैसे बड़े पत्तों के नीचे बैठा हुआ है भोर का दयोल पक्षी-चारों ओर देखता हूँ पल्लवों का स्तूप जामुन, बरगद, कटहल, सेमल, पीपल साधे हुए हैं चुप्पी। नागफनी का छाया बलुआही झाड़ों पर पड़ रही है मधुकर(सौदागर, सती बेहुला की कथा का पात्र) के नाव से न जाने कब चाँद, चम्पा के पास आ गया है ऐसे ही सेमल, बरगद और ताड़ की नीली छाया से भरा पूरा है बगाल का अप्रतिम रूप। हाय, बेहुला ने भी देखा था एक दिन गंगा में नाव से नदी किनारे कृष्ण द्वादशी की चाँदनी में सुनहले धान के पास हज़ारों पीपल, बरगद वट में मन्द स्वर में खंजनी की तरह इन्द्रसभा में श्यामा(लोक संगीत) के कोमल गीत सुने थे, बंगाल के नदी कगार ने खेत मैदान पर घुँघरू की तरह रोये थे उसके पाँव।
Jibanananda Das (Bengal the Beautiful)
हज़ारों साल से राह चल रहा हूँ पृथ्वी के पथ पर सिंहल के समुद्र से रात के अँधेरे में मलय सागर तक फिरा बहुत मैं बिम्बिसार और अशोक के धूसर जगत में रहा मैं वहाँ बहुत दूर अँधेरे विदर्भ नगर में मैं एक क्लान्त प्राण, जिसे घेरे है चारों ओर जीवन सागर का फेन मुझे दो पल शान्ति जिसने दी वह-नाटोर की बनलता सेन। केश उसके जाने कब से काली, विदिश की रात मुख उसका श्रावस्ती का कारु शिल्प- दूर सागर में टूटी पतवार लिए भटकता नाविक जैसे देखता है दारचीनी द्वीप के भीतर हरे घास का देश वैसे ही उसे देखा अन्धकार में, पूछ उठी, ”कहाँ रहे इतने दिन?“ चिड़ियों के नीड़-सी आँख उठाये नाटोर की बनलता सेन। समस्त दिन शेष होते शिशिर की तरह निःशब्द आ जाती है संध्या, अपने डैने पर धूप की गन्ध पोंछ लेती है चील पृथ्वी के सारे रंग बुझ जाने पर पाण्डुलिपि करती आयोजन तब क़िस्सों में झिलमिलाते हैं जुगनुओं के रंग पक्षी फिरते घर-सर्वस्व नदी धार-निपटाकर जीवन भर की लेन-देन रह जाती अँधेरे में मुखाभिमुख सिर्फ़ बनलता सेन।
Jibanananda Das (Banalta Sen)
काली अँधेरी रात थी फाल्गुन की पंचमी का चाँद भी डूब चुका था तब, मरना तो उसे था ही, सुना है कल रात पोस्टमॉर्टेम के लिए ले गये उसे। पास ही लेटी थी पत्नी और बच्चा भी था, बिखरी थी चाँदनी चारों ओर, और था प्रेम, और थी आशा, फिर भी ना जाने क्यों आया था नजर उसे एक भूत? खुल गई थी आँखें उसकी या फिर बरसों से सोया ही नहीं था वह, सोया हुआ है जो अब भयावह शवगृह के इस सुनसान अंधकार में। क्या ऐसी ही नींद चाहा था उसने? अँधेरे नम बसबसाते कमरे में सोया पड़ा है आज, प्लेग से रक्तरंजित ढलके गरदन वाले चूहे जैसा, कभी नहीं जागने के लिए। “कभी उठोगे नहीं क्या ज़िंदगी का असह्य भार और वेदना और नहीं झेलोगे क्या?” उसकी खिड़की से झाँक कर निःस्तब्धता ने पूछा था, जब चाँद भी हो चुका था विलीन उस जटिल अन्धकार में। उल्लू तो सोने की तैयारियों में लग चुका था, गली में टर्राता मेढ़क मगर मांग रहा था दो मुहूर्त और, सुबह की लाली दस्तक देने जा रही थी उसी अनुराग से, और मैं झेल रहा था चारों ओर से मसहरी का क्षमाहीन विरोध, जो दिख ही नहीं रहा था इस धुंधले निरुद्देश्य अंधकार में, मच्छर लेकिन तब भी जाग रहा था जीवन स्रोत की चाह में। आकाश घनिष्ठ हो उठा और भी, मानो कोई एक विकीर्ण जीवन नचा रहा हो उँगलियों पर उसके मन को, दूर किसी बच्चे के हाथों में फंस कर मौत से लड़ते झींगुर का क्रंदन, चाँद भी डूब गया, और इस विचित्र अंधियारे में, तुम, हाथों में पाश लिए खड़ी हो, एकाकी, उसी पीपल तले, जानती हुई भी कि झींगुर, पक्षी और मानव एक नहीं हैं। पीपल की शाखों ने किया नहीं विरोध? हरे नर्म झूमते पत्तों से झाँककर किया नहीं प्रतिकार जुगनूओं ने? गंध के सहारे ही ढूंढ कर पूछा नहीं था उल्लुओं ने – “बूढ़ा चाँद तो बह गया बाढ़ में, चलो एक-दो चूहे ही पकड़ें”? चीख कर बताया तो नहीं था उसी ने ये दर्दनाक खबर? जीवन का ये आस्वाद, पतझड़ की किसी शाम में महकता जौ, सह नहीं सके ना? अब इस शवगृह में आराम से तो हो? इस शवगृह के दमघोंटू अन्धकार में रक्तरंजित होंठ और चपटे माथे वाले किसी चूहे की तरह। सुनो, मृत्यु की कहानी फिर भी, व्यर्थ नहीं जाता कभी किसी नारी का प्रणय और विवाहित जीवन की साध, समय के साथ आती है पत्नी और फिर मधुबर्षा, कभी कांपा नहीं जो शीत और भूख की वेदना से, आज लेटा है इस शवगृह में, चित किसी टेबल पर जानता हूँ, हाँ, मैं जानता हूँ, नारी मन में, प्रेम, वात्सल्य, घर, नव परिधान, अर्थ, कीर्ति, और आराम ही सब कुछ नहीं है, इससे अलग भी कुछ है, जो हमारे अंदर खेलता है, और कर देता है हमें क्लांत, और क्लांत, और भी क्लांत। आज इस शवगृह में नहीं है वो क्लांति, तभी तो आज लेटा है वह चित किसी टेबल पर यहाँ। फिर भी रोज रात देखता हूँ मैं, एक बूढ़ा उल्लू बैठता है पीपल की डालों पर, पलकें झपकाता है और कहता है – “चाँद तो लगता है बह गया बाढ़ में, अच्छा है, चलो पकड़ें एकाध चूहे को ही”। वो बूढ़ी नानी, आज भी वैसी ही है, मैं भी हो जाऊंगा एक दिन उसकी तरह, डूबा दूँगा इस बूढ़े चाँद को तब किसी चक्रवात में। और फिर चलें जायेंगे हम दोनों, शून्य कर इस प्रिय संसार को।
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))
Personal Neon - Poem by Falguni Ray I am devoid of genius that is why I can touch my nose with my tongue and prove that I am really a genius Sometimes while walking in front of Manik Bandyopadhyay's house I brood about the street on which he once walked I am also on the same road, but worthless, Falguni Ray walking, sometimes I travel in second class in trams and I imagine this was the tram that overran and crushed the body of Jibanananda Das This is the way I travel-- earth sun stars accompany me.
Falguni Ray (ফালগুনী রায় সমগ্র)
I am devoid of genius that is why I can touch my nose with my tongue and prove that I am really a genius Sometimes while walking in front of Manik Bandyopadhyay's house I brood about the street on which he once walked I am also on the same road, but worthless, Falguni Ray walking, sometimes I travel in second class in trams and I imagine this was the tram that overran and crushed the body of Jibanananda Das This is the way I travel-- earth sun stars accompany me.
Falguni Ray (ফালগুনী সমগ্র - বৈদ্যনাথ মিশ্র সম্পাদিত)
حسنا ، أنت جزيرة نائية بالقرب من نجوم بعد الظهر. بصق القرفة وبنيرا هناك هناك العزلة. دم هذا العالم هو نجاح الدم صحيح، لكن الحقيقة الأخيرة ليست صحيحة. كالكوتا يوم واحد كالكوتا سيكون tilatama. لكن قلبي قريب منك. اليوم ، يستدير الكثير من النفوس المشاكسة شعوب العالم مثل البشر بينما يعطي الحب ، رأيت في يدي ربما قتل وقع الاخوة والاخوات في الحب. المرض الأعمق للأرض الآن ؛ لا يزال الناس مدينون للعالم. السفن تأتي في ضوء الشمس من ميناءنا رأى المحصول الذي تم التوصل إليه. حبيبات عدد لا يحصى من البشر ؛ عجب الذهب من الذبيحة والدنا ، مثل بوذا كونفوشيوس ، يعيش مثلنا يضع البكم. ومع ذلك ، فإن الدعوة للعمل الدامي في Charidas. الوعي ، نور هذا الطريق - سيكون نظام العالم ؛ هو رجل من قرون عديدة. هذه الرياح هي أشعة الشمس المطلقة. تقريبا بقدر المجتمع الإنساني الجيد متعب بحار متعب مثلنا في متناول اليد لن أفعل ذلك اليوم ، في نهاية الليل. عندما جئت إلى الأرض في تربة الأرض ، إذا كنت لا تشعر بالرضا ؛ لقد جاء لفهم الأرباح العميقة يمس الندى الجسم في الفجر. لقد رأيت ذلك لن يحدث للناس - كل شروق الشمس الأبدي على ضوء القمر من الليل الأبدي.
Jibanananda Das (Selected Poems (English and Bengali Edition))