“
নববর্ষের বৌদ্ধ গান
আমি তোমাকে সবুজ মখমলে দেখলুম, ঝোলাহাতা পোশাক
আগুনের সামনে বসে আছ, আমাদের বাড়ি
কোনোরকমে করে তোলা হয়েছে আরও সৌষ্ঠবপূর্ণ, আর তুমি বললে
“তোমার চুলে নক্ষত্র রয়েছে”-- এই সত্য আমি
নিজের সঙ্গে নিয়ে এলুম
এই প্যাচপ্যাচে আর নোংরা জায়গায় যাকে আমরা করে তুলব সোনালি
করে তুলব দামি আর কিংবদন্তিপ্রতিম, এটা আমাদের স্বভাব,
আর এটাই সত্য, যে আমরা এখানে এসেছি, আমি তোমাকে বললুম,
অন্য গ্রহ থেকে
যেখানে আমরা ছিলুম দেবীদেবতা, আমাদের এখানে পাঠানো হয়েছে,
কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে
যে সোনালি মুখোশ আমি আগে দেখেছিলুম, তা খাপ খেয়ে গেলো
তোমার মুখে এতো সুন্দরভাবে, ফেরত দিলে না
ষাঁড়ের মুখ তুমি যোগাড় করেছিলে সেটাও
উত্তরের লোকজনদের মাঝে, যাযাবরের দল, গোবি মরুভূমি
ওই তাঁবুগুলো আমি আর দেখিনি, ওয়াগনগুলোকেও নয়
অত্যন্ত ঝোড়ো উপত্যকায় অত্যন্ত শ্লথ,
এতো ঠাণ্ডা, আকাশে প্রতিটি নক্ষত্রের ভিন্ন-ভিন্ন রঙ ছিল
আকাশ নিজেই একটা জট পাকানো রঙচঙে পর্দা, ঝলমল করছিল
কিন্তু প্রায়, আমি সেই গ্রহ দেখতে পাচ্ছিলুম যেখান থেকে আমরা এসেছি
আমি মনে করতে পারিনি ( তখন ) আমাদের উদ্দেশ্য কি ছিল
কিন্তু মহাকাল নামটা মনে ছিল, ভোরবেলায়
ভোরবেলায় শিবকে প্রত্যক্ষ করলুম, শীতল আলো
মেলে ধরল “মননপ্রসূত” জগতগুলো, তেমনই সহজ,
আমি দেখলুম তাদের প্রচার, বয়ে যাচ্ছে,
কিংবা, সহজভাবে বললে, একটা আয়না আরেকটাকে প্রতিবিম্বিত করছিল।
তারপর আয়নাগুলো ভেঙে ফেললুম, তোমাকে আর দেখতে পেলুম না
কিংবা কোনো উদ্দেশ্য, এই নতুন কালোময়তার দিকে তাকিয়ে রইলুম
মননপ্রসূত জগতগুলো বিদায় হলো, আর মন হয়ে গেল স্তব্ধ :
এক উন্মাদনা, নাকি এক সূত্রপাত ?
ভালোবাসার একটি অনুশীলন
জ্যাকসন অ্যালেনের জন্য
আমার বন্ধু আমার স্কার্ফ নিজের কোমরে বেঁধে রাখে
আমি ওকে দিই চন্দ্রকান্তমণি
”
”